বৃহস্পতিবার পুলওয়ামার অবন্তীপুরায় সিআরপিএফ-এর বাসে ভয়ানক সন্ত্রাসবাদী হামলায় ইতিমধ্যেই নিহত ৪০ জওয়ান৷ গুরুতর জখম হয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন আরো অনেকে৷ ঘটনায় শোকাহত বাংলার জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। ‘পুলওয়ামায় সিআরপিএফ জওয়ানদের শহীদ হওয়ার খবর অত্যন্ত দুঃখজনক। আমাদের সাহসী জওয়ানদের কুর্নিশ জানাই। তাঁদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা। তাঁদের পাশে আছি আমরা। যাঁরা আহত হয়েছেন প্রার্থনা করছি তাঁরা যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠেন।’ জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামার ঘটনায় টুইটারে ঠিক এই ভাষাতেই শোকজ্ঞাপন করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। পরে দিল্লীতে সাংবাদিক বৈঠকও করেন তিনি। বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা এনসি নেতা ওমর আবদুল্লাও টুইটারে এই হামলার তীব্র নিন্দা করে বলেছেন, ‘উপত্যকা থেকে আজ ভয়ানক খবর এসেছে। আমি জখম জওয়ানদের জন্য প্রার্থনা করছি এবং শহীদ জওয়ানদের পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা জানাই।’ আরেক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা পিডিপি সুপ্রিমো মেহবুবা মুফতি টুইটারে জঙ্গীদের সরাসরি পাগলের সঙ্গে তুলনা করেন। তিনি বলেন, ‘অবন্তীপুরা থেকে খারাপ খবর এসেছে। এই সন্ত্রাসের নিন্দা করার কোনও ভাষা নেই। আর কতগুলি প্রাণ গেলে এই পাগলামির শেষ হবে।’ আবার, হামলার পিছনে সরাসরি পাকিস্তানের মদত আছে বলে বিবৃতি দিয়ে জম্মু-কাশ্মীরের রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক বলেন, উপত্যকার বিচ্ছিন্নতাবাদীরা নিজেদের উপস্থিতি জানান দিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। জৈশের দায় স্বীকারেই প্রমাণিত সীমান্তপারের মদত রয়েছে এতে।
এই দুঃসময়ে বিরোধিতা ভুলে সবাইকে একজোট হওয়ার আবেদন করেছেন দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। পুলওয়ামার নাশকতার তীব্র নিন্দা করে শহিদ জওয়ানদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন, উড়িষ্যার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক, রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটও। কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা দলের তরফে হামলার তীব্র নিন্দা করে বলেন, ‘শহীদ জওয়ানদের পরিবারের প্রতি আমাদের সমবেদনা। মোদি সরকারের গত পাঁচ বছরে এটা ১৮তম বড় হামলা। ৫৬ ইঞ্চির ছাতি আর কবে জবাব দেবেন।’