রাতেই খবরটা এসে পৌঁছেছিল বিহারের ভাগলপুরের ঠাকুর পরিবারে। বড় ছেলে রতন ঠাকুর শহীদ হয়েছেন জঙ্গী হামলায়। চোখে জল নিয়ে শহীদ জওয়ান রতন ঠাকুরের বাবা বললেন, ‘দরকার পড়লে ছোট ছেলেকেও দেশের জন্য প্রাণ বলিদান দিতে পাঠাব’।
বৃহস্পতিবার পুলওয়ামার অবন্তীপোরায় সিআরপি কনভয়ে গাড়িবোমা হামলা চালায় পাক মদতে পুষ্ট জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ। হামলায় নিহত হন ৪৪ জন জওয়ান। এই শহীদদের মধ্যেই রয়েছেন ভাগলপুরের বাসিন্দা রতন ঠাকুর। নিহত জওয়ানদের চিহ্নিত করার পর তাঁদের বাড়িতে খবর দেওয়া হয়। ছেলের মৃত্যুর খবর পাওয়ামাত্রই পরিবারের সকলে কান্নায় ভেঙে পড়েন।
কিন্তু এত দুঃখের মধ্যেও শহীদ ছেলের জন্য গর্ব রতন ঠাকুরের বাবার চোখে-মুখে। চোখে জল নিয়েই রাতে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন তিনি। বলেন, ‘ছেলের মৃত্যু অবশ্যই কষ্টের। কিন্তু আমার ছেলে দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছে। আমি ওর জন্য গর্বিত। দরকার পড়লে ছোট ছেলেকেও আমি দেশের জন্য প্রাণ বলিদান করতে পাঠাবো।‘ সঙ্গে তাঁর দাবি, ‘এই হামলার জবাব দিতেই হবে। নইলে এত জওয়ানের বলিদান বৃথা যাবে’।
এলাকার ছেলে দেশের জন্য শহীদ হয়েছেন, এ কথা জানার পর মানুষের ঢল নেমেছে রতন ঠাকুরের বাড়িতে। তাঁর নামে জয়ধ্বনি উঠছে। এলাকার ছেলের বীরত্বে সবাই গর্বিত। এক প্রতিবেশীর বক্তব্য, ‘এখানকার অনেক যুবকই সেনাবাহিনীতে রয়েছেন। দেশের জন্য প্রাণ বলিদান এখানে নতুন নয়। এই ঘটনা যত হচ্ছে, ততই এলাকার যুবকদের মধ্যে সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার তাগিদ বাড়ছে। এঁদের সবার জন্য আমরা গর্বিত’।