এবার নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত নিল উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। উচ্চমাধ্যমিকে প্রশ্নফাঁস তথা পরীক্ষা বিভ্রাট আটকাতে পরীক্ষাকেন্দ্রে ব্যবহার হবে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি। পরীক্ষাকেন্দ্রে মোবাইল নিয়ে প্রবেশ রুখতে এবার রাজ্যের প্রতিটি পরীক্ষাকেন্দ্রে ব্যবহার করা হবে মোবাই স্ক্যানার। এমনটাই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংসদ।
এই প্রযুক্তির মাধ্যমে, কেউ মোবাইল নিয়ে প্রবেশ করতে চাইলেই শব্দ করে সতর্কবার্তা দেবে স্ক্যানার। একবার নয়, দু’বার প্রত্যেক পরীক্ষার্থীকে স্ক্যানারে সার্চ করা হবে। রাজ্যের প্রতিটি পরীক্ষাকেন্দ্রেই থাকবে এই স্ক্যানার। কোনও পরীক্ষার্থীর কাছে মোবাইল ফোন পাওয়া গেলে, তাঁকে পরীক্ষায় বসার অনুমতি দেওয়া হবে না। কন্ট্রোল রুম খোলা হবে প্রধান শিক্ষকের ঘরে।
পশ্চিমবঙ্গ উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি মহুয়া দাস জানিয়েছেন, পরীক্ষায় যতরকম বিভ্রাট, প্রশ্নফাঁস সব কিছুই হয় মোবাইলের মাধ্যমে। তাই পরীক্ষার্থীরা যাতে কোনোভাবেই মোবাইল নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশ করতে না পারে সেদিকে নজরদারি রাখা হবে।
এবার পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রশ্নপত্র খোলা নিয়ে বিশেষ নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। এতদিন পর্যন্ত পরীক্ষার কিছুক্ষণ আগে প্রধান শিক্ষকের ঘরে খোলা হত প্রশ্নপত্র। কিন্তু সেসময় প্রধান শিক্ষক এবং সহকারী শিক্ষকরা ছাড়া অন্য কেউ উপস্থিত থাকতে পারতেন না। পুলিশকর্মীরা থাকতেন প্রধান শিক্ষকের ঘরের বাইরে। এবার থেকে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ নতুন নিয়ম চালু করেছে। প্রশ্নপত্র যখন খোলা হবে তখন পুলিশকর্মীরা প্রধান শিক্ষকের ঘরেই উপস্থিত থাকবেন।
এবার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হচ্ছে ২৬ ফেব্রুয়ারি। এবছর পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৮ লক্ষের বেশি। রাজ্যের কয়েক হাজার স্কুলে হবে পরীক্ষা। পরীক্ষাকেন্দ্রে এই প্রযুক্তি ব্যবহার বেশ চমকপ্রদ। মাধ্যমিক পরীক্ষার ক্ষেত্রেও প্রশ্নপত্র খোলা নিয়ে বিশেষ নির্দেশিকা জারি করেছে পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। তবে, মোবাইল সংক্রান্ত এই নির্দেশিকা এখনও জারি করা হয়নি।