অনৈতিক ভাবে কলকাতার পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের বাড়িতে হানা দিয়েছিল সিবিআই। তার প্রতিবাদে ধর্নাতেও বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে রাজীব কুমারকে গ্রেফতার করা যাবে না। দেশের শীর্ষ আদালতে রাজীবের বিরুদ্ধে যা যা অভিযোগ তুলেছিল সিবিআই, জানা গেছে তার অধিকাংশই ত্রুটিপূর্ণ।
সূত্রের খবর, এবার পাল্টা হলফনামা জমা দিয়ে তাঁর বক্তব্য জানাতে পারেন রাজীব। কারণ সিপি শুধু একজন ব্যক্তি নন, সিপি একটি প্রতিষ্ঠানও। তাই সিবিআই যেভাবে তাকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করেছে তার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে পারেন রাজীব।
মঙ্গলবার সিবিআই অভিযোগ করে, যে কল ডিটেলস তাঁরা চেয়েছিলেন সেই রেকর্ড গত বছর জুনে তাদের দেন রাজীব। কিন্তু তা নাকি বিকৃত করা হয়েছিল। নষ্টও করা হয়েছিল অনেক তথ্য। তথ্যবিকৃতি সংক্রান্ত তথ্য সিবিআই মুখ-বন্ধ খামে আদালতে জমা দিতেও ইচ্ছেপ্রকাশ করে। প্রশ্ন উঠছে এখানেই, মোবাইলের কল ডিটেলস বিধাননগর কমিশনারেটের কাছে সিবিআই চেয়েছিল গত বছরই। তখন রাজীব বিধাননগরের দায়িত্বে ছিলেন না। তিনি ২০১৬-তেই কলকাতার পুলিশ কমিশনারের দায়িত্ব নিয়েছেন।
পুলিশের এক আধিকারিকের বক্তব্য, কল ডিটেলস যদি মোবাইল সার্ভিস প্রোভাইডারের থেকেই সিবিআই নেয়, তা হলে বিধাননগর কমিশনারেটের কাছে তা চাওয়ার প্রয়োজন কী ছিল? এছাড়াও সিবিআইয়ের হলফনামায় রাজীব কুমারকে সারদা মামলার তদন্তের জন্য গঠিত ‘সিট’-এর কার্যনির্বাহী প্রধান বলা হয়েছে। কিন্তু সেই সময়ে তিনি ওই সিটের কার্যনির্বাহী প্রধান ছিলেন না। এই সমস্ত ভুল অভিযোগের বিরুদ্ধেই এবার মুখ খুলতে পারেন নগরপাল, এমনই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।