গোপন সূত্রে পাওয়া খুব অল্প সময়ের একটি অডিও টেপ। যা নিয়ে তোলপাড় পড়ে গেল বাংলার রাজনীতিতে। ওই টেপের কথোপকথন যদি সত্য হয়, সেক্ষেত্রে একটি বিষয় স্পষ্ট হয়ে যায়, সিবিআইকে ব্যবহার করার প্রক্রিয়া বহুদিন আগেই কৌশলে শুরু করা হয়েছিল। এবং বিজেপির নেতাদের কলকাঠি নাড়ার ফল কলকাতার নগরপাল রাজীব কুমারের বিরুদ্ধে এই অতি সক্রিয়তা। ওই অডিও টেপের কথোপকথনে একজনকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘সিবিআইকে দিয়ে ৪ জন আইপিএসের বিরুদ্ধে কিছু করাতে হবে। কারোর ওপর যদি নজর দেওয়া হয়, তাহলে আইপিএসরা ভয় পেয়ে যাবে।’
বুধবার বিকেলে একটি বেসরকারি বাংলা বৈদ্যুতিন সংবাদ মাধ্যম একটি অডিও টেপের কথোপকথন সম্প্রচার করে। যিনি বলছেন, তিনি নাকি মুকুল রায়। আর যাঁকে বলা হচ্ছে, তিনি নাকি কৈলাস বিজয়বর্গীয়। আপাতদৃষ্টিতে এমনটাই মনে হয়েছে বলে, ওই টিভি চ্যানেলের দাবি। যদিও সংবাদ মাধ্যম দাবি করেছে, অডিও টেপের সত্যতা তারা যাচাই করেনি। সম্প্রচারে শোনা যাচ্ছে, জনৈক মুকুল রায় কৈলাস বিজয়বর্গীয় নামের ব্যক্তিকে বলছেন, ‘ইনকামট্যাক্সে একজন অ্যাডিশনাল ডাইরেক্টর ঢোকাতে হবে। ডাইরেক্টর ইনভেস্টিগেশন ও অ্যাডিশনাল ডাইরেক্টর হিসেবে দুজনের নাম আমার কাছে আছে। তাদের নাম আমি দিচ্ছি।’
ওই সংবাদ মাধ্যমে প্রচারিত খবরে দাবি করা হয়েছে, এ রাজ্যের আইপিএসদের মধ্যে একজনকে টার্গেট করা হয়েছে। চ্যানেলের ব্যাখ্যা, সম্প্রতি আইপিএস রাজীব কুমারের বিরুদ্ধে সিবিআই যে তৎপরতা দেখিয়েছে, সে ব্যাপারে সিবিআইকে কাজে লাগানোর বিষয়টি নাকি স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে। সম্প্রচারিত খবরের ভিত্তিতে দেখা যাচ্ছে, ওই দুই ব্যক্তি মমতা ঠাকুর, শান্তনু ঠাকুর সম্পর্কেও কিছু কথা বলেছে, এবং তাকে সহায়তা করার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে ওই দুই ব্যক্তির মধ্যে। ফলে ওই অডিও টেপের সম্প্রচারিত বক্তব্য অনুযায়ী বলাই যায়, আইপিএসদের ভয় দেখানোর একটা প্রক্রিয়া অনেক আগেই শুরু হয়ে গিয়েছিল। আর ওই সংবাদ মাধ্যমের ব্যাখ্যা অনুযায়ী সম্প্রতি সিবিআই তৎপরতা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এবং এর পেছনে রাজনৈতিক প্রভাবও রয়েছে।