লড়াইটা ছিল চেতেশ্বর পুজারা বনাম উমেশ যাদবের। কিন্তু নায়ক হয়ে গেলেন বিদর্ভের বাঁহাতি স্পিনার আদিত্য সারওয়াতে। দু’ইনিংসেই তিনি ফেরালেন পুজারাকে।
টানা দ্বিতীয়বার রনজি জিতল বিদর্ভ। তালিকায় মুম্বই, মহারাষ্ট্র, কর্নাটক, রাজস্থান ও দিল্লির পর থাকল বিদর্ভ। যারা টানা দ্বিতীয়বার রনজি সেরা হল।
চতুর্থ দিনের শেষেই ইঙ্গিত মিলেছিল। বৃহস্পতিবার রনজি ফাইনালের পঞ্চম তথা শেষ দিনের প্রথম সেশনেই খেল খতম। ১২৭ রানেই শেষ সৌরাষ্ট্রের দ্বিতীয় ইনিংস। ৭৮ রানে পূজারার দলকে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বার রনজি ট্রফি চ্যাম্পিয়ন বিদর্ভ।
বিদর্ভকে হারাতে দ্বিতীয় ইনিংসে সৌরাষ্ট্রের সামনে ছিল ২০৬ রানের টার্গেট। বুধবার চতুর্থ দিনের শেষে ৫৮ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল পুজারার দল। শেষ দিনে জয়ের জন্য সৌরাষ্ট্রের প্রয়োজন ছিল ১৪৮ রান। হাতে ছিল ৫টি উইকেট। কিন্তু বাঁ হাতি স্পিনার আদিত্য সারওয়াতের ভেলকিতেই শেষ সৌরাষ্ট্র। একমাত্র ভি জাদেজা ৫২ রান করেন। বাকি কেউ আর দাঁড়াতে পারেন নি। ১২৭ রানে শেষ সৌরাষ্ট্রের দ্বিতীয় ইনিংস। প্রথম ইনিংসে পাঁচ উইকেট নেওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে সারওয়াতে নিলেন ৬টি উইকেট। অন্যদিকে বিদর্ভের আর এক স্পিনার অক্ষয় আখাড়ে প্রথম ইনিংসে ৪টি উইকেট নেওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে ৩টি উইকেট তুলে নেন।
প্রথমে ব্যাট করে প্রথম ইনিংসে বিদর্ভ করেছিল ৩১২ রান। জবাবে ৩০৭ রানে শেষ হয় পূজারার দলের ইনিংস। এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে ২০০ রানে গুটিয়ে যায় বিদর্ভের ইনিংস। আর সৌরাষ্ট্রের দ্বিতীয় ইনিংস গুটিয়ে যায় ১২৭ রানে। ৭৮ রানে সৌরাষ্ট্রকে হারিয়ে পর পর দু বছর রনজিতে চ্যাম্পিয়ন হল বিদর্ভ। গত মরশুমে ফাইনালে দিল্লিকে ৯ উইকেটে হারিয়েছিল ওয়াসিম জাফররা।
২০১২–১৩ ও ২০১৫–১৬ মরশুমের পর এবারও রানার্স হয়েই থাকতে হল সৌরাষ্ট্রকে। জয়ের পর বিদর্ভ কোচ চন্দ্রকাণ্ড পন্ডিত বলেছেন, ‘সবাই ভেবেছিল গতবারের জয়টা ছিল ফ্লুক। কিন্তু এবারও আমরাই চ্যাম্পিয়ন।’ বিদর্ভ পেসার উমেশ যাদব বলেছেন, ‘দল দুর্দান্ত খেলেছে। তাই আমরা চ্যাম্পিয়ন।’ বর্ষীয়ান ওয়াসিম জাফর বলেছেন, ‘ভাবিনি বিদর্ভের হয়ে দু’বার রনজি জিতব।’