রবিবার সন্ধেয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গণতন্ত্র রক্ষার দাবিতে মেট্রো চ্যানেলে ধর্নায় বসেন৷ তারপরেই মমতার মতই গোটা রাজ্য মোদীর নিজের রাজনৈতিক স্বার্থে সিবিআইকে ব্যবহার করার ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সামিল হয়৷ সোমবার সেই প্রতিবাদের আগুন ছড়িয়ে পড়ল জেলার কোণায় কোণায়। দফায় দফায় মিছিল, প্রতিবাদ সভা করলেন তৃণমূলের নেতা–কর্মীরা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কুশপুত্তলিকা পোড়ানো হয়। স্লোগান ওঠে, মোদী হঠাও, দেশ বাঁচাও।
নদীয়ার কৃষ্ণনগরে তৃণমূলের ডাকে প্রতিবাদ মিছিল হয় পোস্ট অফিস মোড় থেকে। পুরোভাগে ছিলেন জেলা সভাপতি গৌরীশঙ্কর দত্ত, সভাধিপতি রিক্তা কুণ্ডু প্রমুখ। প্রতিবাদে শামিল হন তেহট্টের নেতা-কর্মীরা। ধিক্কার মিছিল হয় শহর পূর্ব বর্ধমানেও। মিছিলে আকর্ষণ ছিল খাঁচায়বন্দি একটি টিয়া পাখি। তাকে ‘সিবিআই তোতা’ বলে দেখানো হয়েছে।
পুরুলিয়ার প্রতিটি ব্লকে এদিন তৃণমূলের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ মিছিল হয়। জেলা সদরে জুবিলি ময়দানে মিছিলে জেলার নেতারা কালো পতাকা ও ব্যাজ পরে মিছিলে হাঁটেন। রঘুনাথপুর শহরে ১ কিলোমিটার লম্বা মিছিল করেন তৃণমূল কর্মীরা। দলীয় পতাকা ছাড়াও কালো পতাকা নিয়ে বহু মহিলা পা মেলান এই মিছিলে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা তৃণমূলের পক্ষ থেকে শহরের গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ধর্নায় বসেন তৃণমূল নেতা–কর্মী, বিধায়কেরা। সেখানেই অবস্থান–বিক্ষোভে শামিল হন দলীয় নেতা–কর্মী, সমর্থকরা। সকলেই মুখে কালো কাপড় বেঁধে প্রতিবাদে সোচ্চার হন।
হাওড়ার শিবপুর ট্রাম ডিপো থেকে হাওড়া ময়দান পর্যন্ত সমবায়মন্ত্রী অরূপ রায়ের নেতৃত্বে বিশাল মিছিল হয়। মিছিলের শেষে দাহ করা হয় নরেন্দ্র মোদির কুশপুতুল। সোমবার সকালে চন্দননগর, সিঙ্গুর, তারকেশ্বর, হরিপাল, চুঁচুড়া, রিষড়া, উত্তরপাড়া–সহ সর্বত্রই প্ল্যাকার্ড হাতে প্রতিবাদে সামিল হন মানুষ।
বারাসত, বামনগাছি, দত্তপুকুর, দেগঙ্গা মধ্যমগ্রাম–সহ বিভিন্ন এলাকায় মিছিল করে তৃণমূল। বারাসতের মিছিলে নেতৃত্ব দেন বারাসত পুরসভার পুরপ্রধান সুনীল মুখার্জি, উপ–পুরপ্রধান অশনি মুখার্জি প্রমুখ। গোটা বারাসত শহর প্রদক্ষিণ করে ওই মিছিল। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ে কাইজার আহমেদের নেতৃত্বে তৃণমূলের প্রতিবাদ মিছিলে পথে নামেন মহিলারাও। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ক্যানিং, বাসন্তী থেকে শুরু করে সোনারপুর, বারুইপুর, জয়নগর, কুলতলি, বিষ্ণুপুর, মহেশতলা এবং বজবজেও দলীয় কর্মীরা মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করেন।