পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের পাশে দাঁড়াতে এবং মোদীর হিংসাত্মক রাজনীতির বিরুদ্ধে লড়তে গতকাল রাত থেকেই মেট্রো চ্যানেলে ধর্ণায় বসেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তবে শুধু মমতাই নয়, মোদীর নিজের রাজনৈতিক স্বার্থে সিবিআইকে ব্যবহার করার এই ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে দেশের প্রায় সবকটি বিরোধী দলই৷ সকলেই সমর্থন করেছেন মমতাকে৷ তবে শুধু রাজনৈতিক নেতারাই নন, গোটা বাংলার মানুষও যে মমতার পাশেই আছেন, তা বাংলা জুড়ে মোদীর বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদেই সকলে বুঝিয়ে দিলেন৷
বাঁকুড়ার মাচানতলায় ধারাবাহিক ধর্ণায় বসেছে জেলা তৃণমূল। উপস্থিত আছেন দলের জেলা সভাপতি অরূপ খাঁ, বাঁকুড়া জেলা সভাধিপতি মৃত্যুঞ্জয় মূর্মু, তৃণমূল নেতা শিবাজী বন্দ্যোপাধ্যায়, অলকা সেনমজুমদার প্রমুখ। জেলা তৃণমূল সভাপতি অরূপ খাঁ বলেন, “সিবিআইয়ের কার্যকলাপ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আজ ধর্ণায় বসতে বাধ্য করেছে”। সোমবারও বাঁকুড়া জেলার ২২টি ব্লক ও পৌর এলাকাগুলিতে দিনভর আলাদা আলাদা ভাবে সিবিআইয়ের কার্যকলাপের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সভা চলবে বলে তিনি জানান।
রাত ৯টা নাগাদ নাগেরবাজারে যশোর রোডে তৃণমূল কর্মীরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কুশপুতুল পোড়ান। আসানসোলে মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারির নেতৃত্বে জিটি রোডে কুশপুতুল পুড়িয়ে জানানো হয় প্রতিবাদ৷
আজ মেট্রো চ্যানেলেও সারা রাজ্য থেকে বহু দলীয় কর্মী আসেন। ধর্ণামঞ্চে যোগ দেন তাঁরা। তবে এতসব কিছুর মধ্যেও ধর্ণামঞ্চ থেকেই মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন, বাংলার শান্তি অব্যাহত রাখতে৷ কোথাও যেন কোনরকম হিংসাত্মক ঘটনা না ঘটে সেই বিষয়েও কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি৷ মানুষের পাশে থাকতে গিয়ে হিংসার উদ্রেক যাতে না ঘটে সেই বার্তাই বারে বারে ধর্ণামঞ্চ থেকে দিচ্ছেন বাংলার অগ্নিকন্যা মমতা৷