প্রথা অনুযায়ী প্রজাতন্ত্র দিবসের পরে রাজ্য এবং কলকাতা পুলিশের অফিসার, কনস্টেবলদের উৎকৃষ্ট সেবা ও সাহসিকতার জন্য পুরস্কৃত করা হয়। আজ সোমবার উত্তীর্ণ সভাগৃহে বিকেল পাঁচটায় সেই অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল। ঠিক ছিল কলকাতা পুলিশ এবং রাজ্য পুলিশের যে অফিসার, কনস্টেবল ও অন্য কর্মীরা গত এক বছরে উৎকৃষ্ট সেবা ও সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন এবং দৃষ্টান্তমূলক কাজ করেছেন, তাঁদের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুরস্কৃত করবেন।
কিন্তু মমতা এখন ধর্ণা মঞ্চে সংবিধান বাঁচাতে সত্যাগ্রহ করছেন। এই অবস্থায় সোমবার বিকেলে উত্তীর্ণ সভাগৃহের অনুষ্ঠান বাতিল করে উনি তুলে আনলেন মেট্রো চ্যানেলে। ধর্ণা মঞ্চের পাশেই। সেখানেই আজ বিকেলে পুলিশ অফিসারদের পুরস্কৃত করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এই অনুষ্ঠান সরানোকে মমতার মাস্টারস্ট্রোক হিসাবে দেখছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা। তাঁদের মতে, এর ফলে গোটা দেশ দেখবে, মুখ্যমন্ত্রী তাঁর ফোর্সকে মর্যাদা দেন। রাজনৈতিক মহলের অনেকের মতে, উনিশের ভোটের আগে সিবিআই দিয়ে রাজীব কুমারকে জেরা করিয়ে বাংলায় পুলিশ এবং প্রশাসনের মধ্যে ভয় ঢুকিয়ে দিতে চেয়েছিল বিজেপি। কারণ, রাজীব কুমারের মতো এত বড়মাপের পুলিশ অফিসারকে যদি জেরা করা হয় তাহলে তাঁর তুলনায় ছোট অফিসার, আমলারা টলে যাবেন। কিন্তু রাজীব কুমারের পাশে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী সামগ্রিকভাবে পুলিশ এবং প্রশাসনের মধ্যে বার্তা দিতে চেয়েছেন যে তাঁদের সুরক্ষার জন্য তিনি দাঁড়িয়ে আছেন পাহাড়ের মতো। সোমবার বিকেলে আদতে সেই বার্তাটাই আরও একবার দেবেন মমতা।