ঠাকুরনগরের মঞ্চে তখন উপচে পড়ছে ভিড়। তা দেখে উচ্ছ্বসিত স্বয়ং নরেন্দ্র মোদীও। কিন্তু বক্তৃতা আরম্ভ করতেই শুরু হল চরম বিশৃঙ্খলা। আর সেটা এমনই চরমে পৌঁছল যে বক্তৃতা সংক্ষিপ্ত করে চলে গেলেন প্রধানমন্ত্রী।
ঠাকুর নগরের সভায় এ দিন ছিল জনস্রোত। সভার দায়িত্বে থাকা নিরাপত্তাকর্মীরা জানিয়েছেন, মোদীর বক্তৃতা শুরু হওয়ার পরেই হুড়মুড় করে উঠে দাঁড়িয়ে পড়েন অসংখ্য মানুষ। মুহূর্তেই পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যায়। মাঠ থেকে বাঁশের ব্যারিকেড টপকে রাস্তাতেও চলে আসেন অসংখ্য মানুষ। আর এরপরেই শুরু হয়ে হুড়োহুড়ি। পদপিষ্ট হওয়ার মতো পরিস্থিতিও তৈরি হয় বলে জানিয়েছেন তাঁরা। মঞ্চ থেকে বারবার জনগণকে শান্ত হয়ে বসার অনুরোধ করেন স্বয়ং মোদীও। কিন্তু লাভ হয়নি। বরং বিশৃঙ্খলা বেড়েই চলে। মাঠের মধ্যেই শুরু হয়ে যায় চেয়ার ছোড়াছুড়িও। নিরাপত্তারক্ষীদের সামনেই ভিড়ে ঠাসা সভাস্থলে ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়ে যায় দর্শকদের একাংশের মধ্যে। জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় আহত হয়েছেন শতাধিক মানুষ। ভিড়ের মধ্যে ধাক্কাধাক্কিতে অসুস্থ হয়ে পড়েন মহিলা এবং শিশুরাও। সভায় আসা একাংশের দাবি তাঁরা এখনও পরিবারের লোকেদের খুঁজে পাচ্ছেন না।
এর ফলে নিজের বক্তব্য পুরোটা শেষ করতে পারেননি প্রধানমন্ত্রী। মাত্র ১৮ মিনিট ভাষণের পরেই মঞ্চ ছাড়তে হয় তাঁকে। রওনা হন দুর্গাপুরের পরবর্তী সভার উদ্দেশ্যে। দুর্গাপুরের সভায় পৌঁছে ঠাকুরনগরের বিশৃঙ্খলার প্রসঙ্গে মোদী বলেন, ‘আপনাদের ভালোবাসাই আমার কাছে সব। আপনাদের দেওয়া সম্মান আমি মাথায় করে রাখি। কিন্তু ভালোবাসা-সম্মানের পাশাপাশি ধৈর্য রাখাটাও প্রয়োজন।‘