কেন্দ্রীয় বঞ্চনা তো রয়েছেই। এর পাশাপাশি বাংলায় সন্ত্রাসের রাজনীতিও করছে বিজেপি। শক্ত জমি বুঝেই বাংলাকে বারংবার টার্গেট করেছে মোদী সরকার। তাই প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে। সিবিআই, ইডির মতো কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করে ভয় দেখানো হচ্ছে। এই অভিযোগ সামনে রেখে আজ থেকে শুরু হতে হওয়া সংসদের বাজেট অধিবেশনে সরব তৃণমূল। সিবিআই, আরবিআই সহ দেশের প্রতিষ্ঠানগুলিকে ধ্বংস করে দেওয়ার পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোকেও মোদী সরকার নষ্ট করতে চাইছে বলে অভিযোগ মমতার দলের। বিষয়গুলি নিয়ে সংসদে আলোচনার দাবিও করেন তৃণমূলের সংসদীয় দলের নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়।
গতকাল লোকসভার স্পিকার সুমিত্রা মহাজনের ডাকা সর্বদলীয় বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সুদীপবাবু। সেখানেই কেন্দ্রীয় সংসদ বিষয়কমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমারের সামনেই তিনি কেন্দ্রের শাসক দলের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলে বলেন, বাংলার শান্তি নষ্ট করতে চাইছে বিজেপি। সন্ত্রাসের রাজনীতি করছে তারা। বৈঠকে তিনি আরও বলেন, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় বাংলার মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেই আছে। আর তা সহ্য করতে না পেরে বিজেপি সভাপতি অমিত শাহই হোক বা সরকার, বাংলাকে টার্গেট করেছে। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে দিয়ে ভয়ও দেখানো হচ্ছে।
একইসঙ্গে সুদীপবাবু সর্বদলীয় বৈঠকে বেকারত্ব, কৃষক সমস্যা প্রসঙ্গও তোলেন। তিনি বলেন, এই সরকারের পাঁচ বছর পূর্ণ হতে চলল। অথচ সংসদে বেকারত্ব নিয়ে আলোচনাই হল না। কৃষকদের সমস্যা মেটানোর কোনও বিষয় নিয়েও সরকারের কোনও উদ্যোগ নেই। জবাবও নেই। ইভিএমের প্রসঙ্গও তুলেছেন সুদীপবাবু। তৃণমূলের সুরে সুর মিলিয়ে কংগ্রেসের মল্লিকার্জুন খাড়গেও কৃষক সমস্যার প্রসঙ্গ তোলেন সর্বদলীয় বৈঠকে। তোলেন ইভিএম নিয়ে চর্চার দাবিও।
প্রায় সবকটি বিরোধী দলই যে সরকারের ওপর চাপ তৈরি করার জন্য তৈরি হচ্ছে, তার আন্দাজ পেয়েই লোকসভার স্পিকার সুমিত্রা মহাজন সর্বদলীয় বৈঠকে সবপক্ষকেই সুষ্ঠুভাবে সংসদ চলতে দেওয়ার আহ্বান জানান। বৈঠক শেষে তিনি বলেন, মনে রাখতে হবে এটাই ১৬তম সংসদের শেষ অধিবেশন। এরপরেই লোকসভার ভোট। সবাইকেই মানুষের কাছে জবাব দিতে হবে। পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হবে। তাই বৈঠকে সব দলের প্রতিনিধিদেরই বলেছি, সুষ্ঠুভাবে সভা চলতে দিন। মানুষ আপনাদের দেখছে।
কিন্তু বৈঠকের পর খাড়গে বলেন, রাফাল যুদ্ধ বিমান নিয়ে যে দুর্নীতি হয়েছে, তা দেশবাসীর সামনে স্পষ্ট। তাই এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীকে জবাব দিতে হবে। সংসদে এসে রাফাল নিয়ে মুখ খুলুন মোদী। এই একই দাবি কংগ্রেস, তৃণমূল-সহ বাকি বিরোধী দলগুলির।