প্রধানমন্ত্রীর সভাস্থল ঘিরে ডামাডোল চলছে এখনও। এমনকি মতুয়া মহাসঙ্ঘের তরফে যে প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ করা হয়নি, স্পষ্ট করে দিয়েছেন অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘের সঙ্ঘাধিপতি মমতাবালা ঠাকুর। আর এবার গাইঘাটার ঠাকুরনগরে প্রধানমন্ত্রীর সভার জন্য গাছ কাটায় তৈরি হল নতুন বিতর্ক। অভিযোগ, যেখানে হেলিপ্যাড তৈরি হচ্ছে, সেই এলাকায় লম্বু, শিরীষ প্রভৃতি গাছ তো কাটা হচ্ছেই। এর পাশাপাশি হেলিপ্যাড থেকে সভাস্থল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর যাওয়ার রাস্তা তৈরির জন্য নির্বিচারে কাটা হচ্ছে একাধিক গাছ৷ এর প্রতিবাদ জানিয়ে বনগাঁর মহকুমা শাসককে চিঠি দিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ঠাকুরনগরের বাসিন্দারা। ওই অভিযোগের প্রতিলিপি উত্তর ২৪ পরগনার ডিভিশন্যাল ফরেস্ট অফিসারের কাছেও পাঠানো হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর ঠাকুরনগরে সভা চূড়ান্ত হওয়ার পরই মাঠ নিয়ে প্রথম বিতর্ক শুরু হয়েছিল। আসলে সভার জন্য মতুয়াদের ঠাকুরবাড়ির দেবত্রর সম্পত্তির অংশ শ্রীধর ময়দানকে নির্বাচিত করেছে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। এদিকে, ওই মাঠে গত ২৮ জানুয়ারি থেকে আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মতুয়া ধর্ম সম্মেলনের জন্য মাইক বাজানোর অনুমতি নেন অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘের সঙ্ঘাধিপতি মমতাবালা ঠাকুর। এই প্রসঙ্গে মমতাবালা জানান, যেদিন প্রধানমন্ত্রীর সভা, সেদিন শ্রীধর ময়দানে মতুয়াদের নাম সংকীর্তন হবে। এ জন্য ইতিমধ্যেই মিলেছে প্রশাসনের অনুমতি৷ ফলে সভার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেল প্রধানমন্ত্রীর সভাস্থল নিয়ে টালমাটাল চলছিলই।
এরইমধ্যে জানা যায়, ২ ফ্রেরুয়ারি ঠাকুরনগরে সভাস্থলের কাছেই অস্থায়ী হেলিপ্যাডে নামবে প্রধানমন্ত্রীর কপ্টার। হেলিপ্যাড থেকে সভাস্থল পর্যন্ত হেঁটে আসবেন মোদী। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ঠাকুরনগরের চিকনপাড়ায় প্রধানমন্ত্রীর সভার জন্য রাস্তা তৈরি করার কাজ চলছে। নির্বিচারে কেটে ফেলা হচ্ছে বড় বড় গাছ। তাতে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হবে। তাই গাছ কাটা বন্ধ করার আরজি জানিয়ে বনগাঁর মহকুমা শাসককে চিঠি দিয়েছেন ঠাকুরনগরের বাসিন্দাদের একাংশ। এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, একটি শিশুর জন্ম হওয়া মাত্রই আমাদের মুখ্যমন্ত্রী একটি চারাগাছ তুলে দিচ্ছেন তাদের পরিবারের হাতে। আর সেখানে প্রধানমন্ত্রীর সভার জন্য গেরুয়া বসনধারীরা যথেচ্ছভাবে গাছ কেটে ফেলছে। এই কারণেই প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা।