বাংলায় আগুন লাগাতেই কি এসেছিলেন অমিত শাহ? উঠে গেল এই প্রশ্নই। কারণ শাহর সভা শেষ হওয়ার পরেই অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠল কাঁথি। পার্টি অফিস, গাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া থেকে শুরু করে রীতিমতো তাণ্ডব চালাল বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। মঙ্গলবার সন্ধের পর পরিস্থিতি আরও অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। দীঘা-নন্দকুমার জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। কাঁথি থানার পুলিশ ও কমব্যাট ফোর্স গিয়ে পরিস্থিতি আয়ত্তে আনে। এলাকা আপাতত শান্ত বলে জানিয়েছে পুলিশ।
তৃণমূলের অভিযোগ, ‘তৃণমূল কর্মীদের ওপরে ইট-বাঁশ-লাঠি নিয়ে হামলা চালিয়েছে বিজেপি।’ জানা গেছে, গতকাল একটি সরকারি বাস ভাঙচুর করার পাশাপাশি চাঁদবেড়িয়া, দুরমুঠ-সহ কাঁথি শহরে তৃণমূলের তিনটি পার্টি অফিসে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ ওঠে বিজেপির বিরুদ্ধে। এর জেরে শুরু হয় হাতাহাতি। অভিযোগ, বিজেপি কর্মীরা ব্যাপক হামলা চালায় দল বেঁধে। মারধর করা হয় তৃণমূল কর্মীদের।
ঘটনা প্রসঙ্গে তৃণমূলের জেলা সভাপতি শিশির অধিকারী বলেন, ‘এলাকায় অশান্তি সৃষ্টি করার জন্য বিজেপি পরিকল্পিতভাবে এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে। আমাদের পার্টি অফিসে আগুন ধরানোর পাশাপাশি বাস ভাঙচুর করেছে। অশান্তি সৃষ্টি করতে এলে তৃণমূল প্রতিরোধ গড়ে তুলবে।’ তাঁর কটাক্ষ, ‘ওটা বিজেপির কোনও সভা নয়? ওই সভাকে আমরা ভয় পাই না। আসলে ব্রিগেডে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা দেখে বিজেপির নার্ভ ফেল করেছে। সেই কারণেই ওরা গোলমাল পাকাচ্ছে।’