ভিডিও গেমস নিয়ে আলোচনায় খুবই উৎসাহ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। কিন্তু চাকরির প্রশ্নে তিনি চুপ! কর্মসংস্থান নিয়ে এত দিন বিরোধীদের প্রশ্নের জবাব দিতে পারেননি। পড়ুয়াদের সঙ্গে আড্ডাতেও চাকরির প্রসঙ্গ সযত্নে এড়িয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে।
গত বারের মতো দেশের বিভিন্ন প্রান্তের দু’হাজার ছাত্র-ছাত্রীর সঙ্গে দিল্লীর তালকাটোরা স্টেডিয়ামে ‘পরীক্ষা পে চর্চা’য় বসেছিলেন মোদী। সেখানেই ছেলের অনলাইন গেমে আসক্তি নিয়ে অভিযোগ জানান দিল্লির বাসিন্দা মধুমিতা সেনগুপ্ত। প্রধানমন্ত্রী জানতে চান, ‘পাবজিওয়ালা হ্যায় ক্যয়া? নাকি ফ্রন্টলাইন?’ তারপর বলেন, ‘প্রযুক্তি যেমন সমস্যা, তেমনই সমাধানের রাস্তাও। তাই বাবা-মাকে প্রযুক্তি, মোবাইল অ্যাপ নিয়ে বন্ধুর মতো কথা বলতে হবে’।
এরপরই বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএ কোর্সের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী শাম্ভ্যবী শুক্লা জানতে চান, ‘ভাল চাকরি পেতে বা কেরিয়ার গড়তে কী ভাবে এগোনো যায়?’ অনেকটা একই ধাঁচের প্রশ্ন ছিল আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের মহম্মদ সেলিমের। দু’টি প্রশ্নেরই জবাবই এড়িয়ে গিয়ে তৃতীয় এক ছাত্রীর বিষয় নির্বাচন সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেন মোদী। সব মিলিয়ে দেড় ঘণ্টার আলোচনায় চাকরি নিয়ে কোনও দিশা দেখাননি প্রধানমন্ত্রী।
এদিকে, দশম-দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষার পরেই দেশে লোকসভা নির্বাচন। পরীক্ষা খোদ প্রধানমন্ত্রীর। কিন্তু স্বপ্নপূরণে সরকারের ব্যর্থতার অভিযোগ তুলেছেন তাঁরই মন্ত্রী নীতিণ গাডকরি। পরীক্ষার্থীদের মঞ্চে ভোট-পরীক্ষার্থী মোদী বলেন, ‘সামর্থ্য অনুযায়ী স্থির করতে হবে লক্ষ্য। স্বপ্ন পূরণ না হলে আত্মসমীক্ষা করতে হবে।’ যা শুনে কংগ্রেসের এক নেতার কটাক্ষ, ‘লক্ষ্যমাত্রার ধারেকাছে পৌঁছননি বুঝে আত্মপক্ষ সমর্থনে নেমেছেন মোদী। পরীক্ষায় দেশবাসী তাঁকে গোল্লা দেবেন।’