মুকুল রায়-সহ বিজেপির রাজ্য নেতারা রটিয়ে দিয়েছেন মতুয়া মহাসঙ্ঘের ডাকেই নাকি আগামী ২ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঠাকুরনগরে আসছেন। কিন্তু, মতুয়া মহাসঙ্ঘের তরফে প্রধানমন্ত্রীকে কোনও আমন্ত্রণই জানানো হয়নি বলে মঙ্গলবার সাফ জানিয়ে দিলেন অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘের সঙ্ঘাধিপতি মমতাবালা ঠাকুর। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী আসলে নিজের ব্যক্তি স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্যই আসছেন। মতুয়ারা তাঁকে ডাকেননি।
প্রসঙ্গত, অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘের সঙ্ঘাধিপতি হলেন মমতাবালা ঠাকুর। কিন্তু প্রাক্তন মন্ত্রী মঞ্জুলকৃষ্ণ ঠাকুরের ছোট ছেলে শান্তনু ঠাকুর হামেশাই দাবি করে থাকেন, তিনিই নাকি অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসংঘের সঙ্ঘাধিপতি। ফলে প্রকৃত সঙ্ঘাধিপতি কে? এ নিয়ে একটা ‘জটিলতা’ তৈরি হলেও মঙ্গলবার বিকালে ঠাকুরবাড়িতেই সাংবাদিক সম্মেলন করে মমতাবালা ঠাকুর স্পষ্ট করে দেন যে তিনিই হলেন অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘের সঙ্ঘাধিপতি।
ওই সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী মোদী যে সকল প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তার একটিও এতদিনে পূরণ করেননি তিনি। বরং যে নাগরিকত্ব বিল তিনি এনেছেন তাতে সকলেই ভীত। ওঁকে মতুয়ারা ঠাকুরনগরে আমন্ত্রণ করেননি। কিন্তু বিজেপি বলছে, শান্তনু ঠাকুর সঙ্ঘাধিপতি হিসাবে আমন্ত্রণ করেছেন? উত্তরে মমতাবালা সাফ জানালেন, উনি নিজেকে সঙ্ঘাধিপতি বললেই তো হবে না। ওঁর আগে ওঁর বাবা আছেন, দাদা আছেন। একটা নিয়ম আছে তো।
তিনি আরও স্পষ্ট করে বলেন, যদি মতুয়াদের জন্যই এই সভা হত তাহলে, প্রধানমন্ত্রীর সভার জন্য যে গেট তৈরি হচ্ছে তাতে অন্তত বড়মার একটা ছবি থাকত। আর বড়মাকে তো আমন্ত্রণ পর্যন্ত করা হয়নি। তাই ওই সভা মোদীর ব্যক্তিগত সভা৷ কোনও ভাবেই তা মতুয়াদের সভা নয়।
অন্যদিকে, মোদীর সভার আগের দিন ১ ফেব্রুয়ারি এনআরসি ইস্যুতে কেন্দ্রীয় সরকার তথা মোদীর বিরুদ্ধে ঠাকুরনগরেই বড় মিছিলের ডাক দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এ প্রসঙ্গে দলের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার সভাপতি তথা খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, এনআরসি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার যে চক্রান্ত করছে, তার বিরুদ্ধেই আমরা ১ ফেব্রুয়ারি ঠাকুরনগরে একটি মিছিলের ডাক দিয়েছি।