বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দায়িত্ব ও সৌজন্যবোধ এমনই। তিনি আম্বানির মেয়ের বিয়েতে উপস্থিত হয়ে সৌজন্য রক্ষা করেন। আবার উপস্থিত হন সাধারণের বাড়ির বিয়েতেও।
মামারবাড়ির পাশেই থাকতেন মন্টু দাস। বহু বছর ধরে কালিঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতেই রয়েছেন তিনি। তাঁরই বড় ছেলে কৃশানুর বিয়ে আগামীকাল ৩০ জানুয়ারি। সেই অনুষ্ঠানেই নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে বীরভূমের কুসুম্বা যাবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একই সঙ্গে ঘুরে আসবেন মামাবাড়িও।
স্বাভাবিকভাবেই কুসুম্বা জুড়ে এখন সাজো সাজো রব। দুটি পরিবারই আনন্দে আত্মহারা। মুখ্যমন্ত্রীর মামাতো ভাই নীহার মুখোপাধ্যায় ও তাঁর স্ত্রী পম্পা আনন্দে ভাসছেন। নীহার বলেন, ‘দিদি এখানে রাজনীতি করতে আসেন না। মামাবাড়িতে আসেন। আমি যা জেনেছি, তা হল বুধবার রামপুরহাটে একটি সরকারি সভার পর উনি এখানে আসবেন। ওঁর আসার খবরে গোটা গ্রামেই সবার আনন্দ’।
ব্যস্ততা মন্টু দাসের বাড়িতেও। একে ছেলের বিয়ে। তারওপর উপস্থিত হবেন মুখ্যমন্ত্রী। মন্টুদের কাছে অবশ্য মমতা ভিভিআইপি নন। ঘরের লোক। মন্টুর ছেলে কৃশানু বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী তো আমাদের পরিবারের একজন। উনি আমার বিয়েতে আসার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন, এতেই আমি ধন্য। তাঁকে কী খাওয়ানো হবে, তা বাবা ঠিক করবেন। কারণ বাবাই সেটা সবচেয়ে ভালো জানেন’।
মুখ্যমন্ত্রী আসছেন বলে ইতিমধ্যেই ঘরদোরে রং পড়েছে। যে ঘরে মমতাকে বসানো হবে ঠিক হয়েছে সেই ঘরে পড়েছে সবুজ রঙয়ের প্রলেপ। প্রশাসনের তরফেও ব্যস্ততা তুঙ্গে। কুসুম্বা গ্রামের রাস্তায় নতুন করে পিচ পড়েছে। রাস্তার পাশে মুখ্যমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে লাগানো হয়েছে ফ্লেক্স।
এখন মমতার জন্য অপেক্ষার প্রহর গুণছে মামাবাড়ি। যে মামাবাড়ির কথা বলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বহু সভায় স্মৃতিমেদুর হয়ে পড়েন। আতিথেয়তার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর মামাতো ভাইয়ের স্ত্রী পম্পা মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘দিদির প্রিয় খাবার চপ-মুড়ি, ছোলাভাজা। আমি নিজে চপ করে খাওয়াব’।