বর্ধমানের খাগড়াগড় বিস্ফোরণকাণ্ডে নয়া মোড়। এবার জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)-এর জালে খাগড়াগড় বিস্ফোরণকাণ্ডের ফেরার দুই অভিযুক্ত। এনআইএ সূত্রে জানা গেছে, ধৃতদের নাম কদর গাজি ও হাবিবুর ওরফে সাজ্জাদ। হুগলীর আরামবাগের একটি গ্রাম থেকে পাকড়াও করা হয়েছে তাদের।
এনআইএ সূত্রের খবর, ধৃত জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ(জেএমবি)-এরশীর্ষ নেতা কওসরকে জেরা করেই হদিশ মেলে খাগড়াগড় কাণ্ডে ফেরার এই দুই অভিযুক্তের। এরপর সোমবার গভীর রাতে এনআইএ-র দুটি আলাদা দল আরামবাগে ফেরার জঙ্গিদের ডেরাতে হানা দেয়। সেখানে রাজমিস্ত্রির কাজ করছিলেন এই দুজন। জানা গেছে, বেশ কয়েক মাস ধরেই রাজমিস্ত্রির পরিচয়ে গা ঢাকা দিয়েছিল দুজন।
কদর বীরভূমের কীর্ণাহারের বাসিন্দা এবং কওসরের অন্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিল বলে দাবি গোয়েন্দাদের। জেএমবি-র খাগড়াগড় মডিউলের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিল সে। ২০১৪ সালে খাগড়গড় বিস্ফোরণের পর থেকেই ফেরার ছিল সে। বীরভূমে জেএমবি-র মডিউলের দায়িত্বে থাকা কদর সংগঠনের তহবিল তৈরি করা থেকে শুরু করে প্রশিক্ষণের বন্দোবস্তও করেছে বলে জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা। অন্যদিকে হাবিবুরও ওই মডিউলেরই গুরুত্বপূর্ণ সদস্য।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের ২ অক্টোবর বর্ধমানের খাগড়াগড়ে একটি বাড়িতে বিস্ফোরণ হয়। সে বছর ওইদিন দুর্গাপুজোর অষ্টমী ছিল। পুজোর সময় রাজ্যে বিস্ফোরণের ঘটনায় স্বভাবতই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল। বিস্ফোরণে ২ জনের মৃত্যু হয়েছিল। মৃতরা হলেন সাকিল আহমেদ ও শোভন মণ্ডল। সেসময় ৫৫টি ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস, আরডিএক্স, সিম কার্ড উদ্ধার করেছিল পুলিশ। এনআইএ গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, ধৃতদের মঙ্গলবার কলকাতার বিশেষ এনআইএ আদালতে পেশ করা হবে।