দীর্ঘদিন ধরেই তৃণমূলের তরফে নদীয়ার পর্যবেক্ষক হিসাবে রয়েছেন দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তবে লোকসভা ভোটের আগে নদীয়ার জমি আরও শক্ত করার লক্ষ্যে কিছুদিন আগেই পার্থর সঙ্গে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে নদীয়া জেলা পর্যবেক্ষণের দায়িত্ব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর দায়িত্ব পেয়ে সময় নষ্ট না করেই কাজে নেমে পড়েছেন অনুব্রত।
সংগঠন সংক্রান্ত বিষয়ে সরাসরি অভিযোগ জানানো যাচ্ছে অনুব্রতর কাছে। আর এতে খুশি দলের কর্মী-সমর্থকরাও। তাঁদের কথায়, দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনুব্রতকে নদীয়ার অন্যতম পর্যবেক্ষক করে দলীয় সংগঠনকে আরও মজবুত করার দায়িত্ব দিয়েছেন। এ ব্যাপারে অনুব্রত যোগ্য নেতা। বিরোধীদের উদ্দেশ্যে তাঁর দেওয়া ‘পাঁচন’ দাওয়াই যে জেলার কর্মী-সমর্থকদের উদ্বুদ্ধ করেছে, তা স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছে তাঁদের হাবভাবে।
গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে নদীয়ার কিছু এলাকায় তৃণমূলের ফল আশানুরূপ হয়নি। জোরজুলুম করেই জেলা পরিষদের দুটি আসন দখল করে নিয়েছে বিজেপি। বেশ কয়েকটি গ্রাম পঞ্চায়েতও দখল করেছে তারা। এ কারণেই জেলার সংগঠনকে লোকসভা নির্বাচনের আগে ঢেলে সাজাতে চাইছেন মমতা। সেজন্যেই অনুব্রতকে এখানকার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে সবার ধারণা। আর এবার যাতে কোনও রকম ভুল ত্রুটি না থাকে, সেদিকে নজর দিচ্ছেন অনুব্রতও। দায়িত্ব পেয়েই তাই সংগঠনকে মজবুত করতে প্রথমে প্রশ্নোত্তর পর্বের আশ্রয় নিলেন তিনি।
বৃহস্পতিবার কৃষ্ণনগরের ঘূর্ণিতে হাই স্কুলের মাঠে তৃণমূলের তরফে এক প্রশিক্ষণ শিবিরের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সেখানে অনুব্রত ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলা সভাপতি গৌরীশঙ্কর দত্ত, মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস-সহ কৃষ্ণনগর মহকুমার নেতারা। অনুব্রত জানান ৩ তারিখ কৃষ্ণনগরে বিরাট জনসভা করবেন তিনি। প্রায় তিন লক্ষ মানুষের ভিড় হবে সেই সভায়। স্থানীয় নেতৃত্বকে প্রত্যেক বুথ থেকে একটি করে বাস ঠিক করে কর্মী-সমর্থকদের আনার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। অনুব্রতর স্পষ্ট কথা, ‘বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ জানালাম এত বড় সভা করে দেখাক ওরা।’