‘বিজেপির সভায় লোক হচ্ছে না। এজন্য ফাঁকা সভা দেখে মঞ্চ থেকে নেতা-নেত্রীরা হেলিকপ্টারের বাহানা দিচ্ছেন।’ এভাবেই তীব্র কটাক্ষ করে বিজেপির নেতা-নেত্রীদের হেলিকপ্টার নামানোর অভিযোগ ওড়ালেন শিক্ষামন্ত্রী তথা তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
বৃহস্পতিবার বিকেলে ঝাড়গ্রামে আসেন মন্ত্রী। ঝাড়গ্রামের কুমুদকুমারী ইনস্টিটিউশন প্রাঙ্গণে ধামসা মাদল বাজিয়ে পঞ্চম জঙ্গলমহল উৎসবের উদ্বোধন করেন তিনি। সেখানেই সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘বিজেপির সভায় লোক হচ্ছে না। এজন্য ফাঁকা সভা দেখে মঞ্চ থেকে নেতা-নেত্রীরা হেলিকপ্টারের বাহানা দিচ্ছেন। রোজই বলছেন ব্রিগেডে আসছি, কিন্তু আসতে পারছেন না। রাজ্যে ওঁদের নেতা কম পড়েছে। তাই বাইরে থেকে নেতা-নেত্রীদের আনতে হচ্ছে। তাঁরা হাওয়া বুঝতে আসছেন।’
প্রসঙ্গত, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি, কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয়, রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ সকলেই অভিযোগ করছেন তাঁদের হেলিকপ্টার নামার অনুমতি দিচ্ছে না রাজ্য সরকার। সেই অভিযোগকে নস্যাৎ করলেন পার্থ। পার্থ বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিপক্ষ হয়ে ওঠা সম্ভব নয়। কেন্দ্রীয় সরকার অর্থনৈতিক অবরোধ করা সত্ত্বেও অক্লান্ত পরিশ্রম করে মমতা বাংলার উন্নয়ন করে চলেছেন। মানুষ মমতার সঙ্গেই রয়েছেন।’
উল্লেখ্য, লোকসভা ভোটের আগে বিজেপিকে যে এক ইঞ্চিও জমি ছাড়া হবে না, ব্রিগেডেই সে কথা স্পষ্ট করে দিয়ে মমতা নির্দেশ দিয়েছিলেন, যেখানে বিজেপি সভা করবে সেখানেই পাল্টা সভা করবে তাঁর দল। সেই মতো এবার ঝাড়গ্রামে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির পাল্টা সভা করবে তৃণমূল। উপস্থিত থাকবেন পার্থ-সহ অন্যান্য নেতা-মন্ত্রীরা। এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের মহাসচিব বলেন, ‘তৃণমূলের সভায় শুধু ঝাড়গ্রাম ও পাশের জেলা থেকে নেতা-কর্মীরা আসবেন। বিজেপির মতো বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, ঝাড়খণ্ড থেকে লোক এনে মাঠ ভরাতে হবে না। হেলিকপ্টারের বাহানা দিয়ে নয়, সাংগঠনিক শক্তি ও উন্নয়নের বার্তা দিয়ে মানুষের মন জয় করতে হয়। তবেই সভায় ভিড় হবে।’