ব্যক্তিগত নজিরের দিনে ম্যাচ সেরার খেতাবও উঠল মহম্মদ সামির হাতে। ভারতীয় বোলারদের হিসেবে একদিনের ক্রিকেটে দ্রুততম ১০০ উইকেট। টপকে গেলেন ইরফান পাঠানকে। ইরফান যেখানে ৫৯ ম্যাচ খেলে এই মাইলফলক স্পর্শ করেছিলেন, সেখানে সামি নিলেন মাত্র ৫৬ ম্যাচ। টেস্ট ক্রিকেটে লাগাতার পারফর্ম করলেও সামির (৩/১৯) এদিনের পারফরমেন্সকে একদিনের ক্রিকেটে তাঁর সফল প্রত্যাবর্তন হিসেবেই দেখছে ক্রিকেট মহল।
ভারতীয় হিসেবে দ্রুততম একশো ওয়ান ডে উইকেট পাওয়ারও কীর্তি গড়লেন তিনি। যে কৃতিত্ব শামি উৎসর্গ করছেন তাঁর মেয়েকে। নেপিয়ারে ম্যাচের শেষে শামি টুইট করেছেন, ‘‘নানা প্রতিকূলতার মধ্যে যাঁরা আমার পাশে ছিলেন, যারা আমার জন্য প্রার্থনা করেছেন, একজন মানুষ এবং ক্রিকেটার হিসেবে যাঁরা আমার ওপর সব সময় আস্থা রেখেছেন, তাঁদের সবাইকে ধন্যবাদ। ওয়ান ডে ক্রিকেটে একশো উইকেট নেওয়ার এই কৃতিত্ব আমি আমার মেয়েকে উৎসর্গ করতে চাই।’’
চোট সারিয়ে একদিনের ক্রিকেটে সামির ডাক পড়ে গত অক্টোবরে ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে। ফিটনেস সমস্যার পাশাপাশি তখন পারিবারিক সমস্যাও ছিল। সব কিছু পিছনে ফেলে ঘুরে দাঁড়ানো প্রসঙ্গে সামি বলেন, ‘এটা একটা দীর্ঘ সফর। ২০১৫ বিশ্বকাপ খেলার পর চোট পাই। সেখান থেকে সুস্থ হয়ে উঠতে আমার দু’বছর সময় লেগে যায়। সেটাই আমাকে অনেক বদলে দিয়েছে। ১৮ মাস রিহ্যাবে কেটেছিল। সে–সময় ট্রেনিংয়ে প্রচুর পরিশ্রম করতাম। তারপর যখন দলে ফিরলাম, টিম ম্যানেজমেন্ট, অধিনায়ক প্রত্যেককে পাশে পেয়েছিলাম। সেটাই আমার সেরাটা বের করে আনতে সাহায্য করেছে। রিহ্যাব থেকে ফিরে ২০১৬ সালে টি২০ বিশ্বকাপের দলে সুযোগ পাই। তারপর ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরি, সেটাই আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে।’ সঙ্গে যোগ করেন, ‘২০১৮ সালে নিয়মিত টেস্ট ক্রিকেট খেলেছি। সেটাই আমার আত্মবিশ্বাসকে অন্য পর্যায়ে তুলে নিয়ে গিয়েছে। আশা করি এটা ধরে রাখতে পারব।’