বসন্ত আসেনি এখনও। তবে বাগানে যেন বসন্তের হাওয়া বইতে শুরু করে দিয়েছে। রবিবার বড় ম্যাচের আগেই ফুরফুরে মেজাজে খালিদ জামিলের মোহনবাগান। কারণ কী? আই লিগ জেতার দোরগোড়ায় তো দাঁড়িয়ে নেই মোহনবাগান? তাহলে?
আসলে বড় ম্যাচ খেলতে নামার আগে বিশ্বাস করতে শুরু করেছে যে ‘মিরাকেল’ হবে এবারের আই লিগে। যার সূচনা বড় ম্যাচ থেকেই হতে পারে। সেজন্য, অতীত ভুলে সামনে তাকাতে চাইছেন সনি নর্ডিরা। মোহনবাগানের সেরা অস্ত্র সনি নর্ডি বলেই ফেললেন, ‘আমি মিরাকেলে বিশ্বাসী। এখনও সময় রয়েছে। নিজেদের সেরাটা খেললে আমাদের আটকানো মুশকিল। যখন এমন একটা পরিস্থিতি তৈরি হয় তখন মনে হয় নিজের সেরাটা দিলে মিরাকেল হতেই পারে।’ পরিসংখ্যান বলে, যে বড় ম্যাচে সনি নর্ডি খেলেছেন সেই বড় ম্যাচ কখনও হারেনি মোহনবাগান। না, জানতেন না সনি নিজেও। শোনার পর হাসতে হাসতে বললেন, ‘দেখা যাক কী হয়। আমি জানি এই বড় ম্যাচে আমার দিকে সবাই তাকিয়ে রয়েছেন। জানি আমার দায়িত্ব। আগের দুটো বড় ম্যাচ খেলিনি। সুতরাং আমার ওপরই প্রত্যাশা সবথেকে বেশি।’
বড় ম্যাচের প্রথম একাদশ মোটামুটি ঠিক করে ফেলেছেন খালিদ। গোলে শিলটন পালকেই রাখবেন। রক্ষণভাগে দুই স্টপার কিংসলে এবং কিমা। দুই সাইডব্যাক হবেন অরিজিৎ বাগুই এবং আম্বেকার অথবা গুরজিন্দার। মাঝমাঠে ইউতার সঙ্গে শুরু করবেন ড্যারেন। দু’পাশে থাকবেন সনি, আজহারউদ্দিন। সামনে ডিকা–হেনরি। পরিবর্ত হিসাবে মাঠে নামতে পারেন মেহতাব, ওমর এবং শেখ ফৈয়াজ।
কী বলছেন খালিদ? তাঁর কাছেও তো ব্যক্তিগত চ্যালেঞ্জ। যদিও খালিদ তা মানতে চান না। ‘আমার কীসের ব্যক্তিগত চ্যালেঞ্জ? এখানে মোহনবাগান খেলবে সেটাই সবচেয়ে বড় ব্যাপার। অতীতে কাকে কোচিং করিয়েছি সে সব মাথায় রাখি না। আমাদের সামনে তাকাতে হবে মোহনবাগানের জন্য। আগের দুটো ম্যাচে যেমন খেলেছে ছেলেরা, সেই খেলা যদি ধরে রাখতে পারে, তাহলে ভাল ফল হবে। আমিও মনে করি এই অবস্থা থেকেও আই লিগে ভাল কিছু করা সম্ভব। এখনও পর্যন্ত কোনও চোট–আঘাত নেই। সব ফুটবলারকেই হাতে পাচ্ছি। ওমরও সুস্থ হয়ে উঠছে। বৃহস্পতিবার থেকে বল নিয়ে অনুশীলন শুরু করে দেবে।’ বিপক্ষ ইস্টবেঙ্গলের প্রতি সমীহও রয়েছে। ‘ওদের বিদেশিরা ভাল। বিদেশি কোচও ভাল। ইস্টবেঙ্গল ভাল দল।’
(সংগৃহীত)