গত শনিবার, ১৯ জানুয়ারি ছিল তৃণমূলের ঐতিহাসিক ব্রিগেড সমাবেশ। বাংলার জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে সেই সমাবেশে হাজির হয়েছিলেন দেশের বিজেপি বিরোধী দলগুলির তাবড় তাবড় শীর্ষনেতারা। সেই ইউনাইটেড ইন্ডিয়া র্যালি থেকেই ২০১৯ বিজেপি ফিনিশের ডাক দিয়েছেন মমতা। সেই মঞ্চ থেকেই মমতার সুরে সুর মিলিয়ে মোদী হঠাও দেশ বাঁচাও-এর স্লোগান তুলেছেন গোটা দেশের নেতৃত্ব। আর এতেই ভয় ঢুকে গেছে গেরুয়া শিবিরের মনে। ভোটের আগে তারা এখন ইউনাইটেড ইন্ডিয়ার জুজু দেখেছে। আর ঠিক এই কারণেই রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে কালিমালিপ্ত করতে তারা আশ্রয় নিয়েছে ভুল তথ্য ও মিথ্যাচারের।
ব্রিগেড সমাবেশের পরেই বিজেপি নেতা তথা রেলমন্ত্রী পীযুষ গোয়েল সাংবাদিক বৈঠক করে একাধিক মিথ্যে দাবি করেন। অভিযোগের আঙুল তোলেন রাজ্য সরকারের দিকেও। সেইসব মিথ্যাচারের বিরুদ্ধেই এবার আসরে নেমেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় মুখপাত্র তথা রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন। টুইটার হ্যান্ডেলে টুইট করে গোয়েলের মিথ্যাচারের বিরোধীতায় তিনি সত্যিগুলো তুলে ধরেন। এবং #ফ্যাক্টচেক ব্যবহার করে মন্ত্রীর করা প্রতিটা মিথ্যে দাবি ও বাস্তব চিত্রটা প্রকাশ করেন তিনি। যেমন – দাবি করা হয়েছিল কিছুদিন আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হেলিকপ্টার মালদা হেলিপ্যাডে নেমেছিল। এর উত্তরে ডেরেক জানান, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শেষ মালদা গেছিলেন ২০১৮ সালে।
আবার, গোয়েল দাবি করেছিলেন, রাজ্য সরকার বিজেপিকে রথযাত্রা করতে দেয়নি। বাস্তব চিত্রটি তুলে ধরতে ডেরেক লেখেন, রথযাত্রার ফলে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে পারে, রাজ্য সরকারের এই আশঙ্কাকে মান্যতা দেয় সুপ্রিম কোর্ট। দাবি করা হয়েছিল, পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিরোধী প্রার্থীরা নাকি মনোনয়ন জমা দিতে পারেননি। বাস্তবে কিন্তু পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিরোধীরা ৯৬ হাজারেরও বেশি মনোনয়ন জমা দিয়েছিল। এমনই নানা মিথ্যাচারের জবাবে একের পর এক বাস্তব ঘটনা তুলে ধরেছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা। এমন পাল্টা জবাব পেয়ে স্বাভাবিকভাবেই মুখে কুলুপ এঁটেছেন গোয়েল-সহ বিজেপি নেতৃত্ব। আসলে বাস্তবে কী কী ঘটেছে ডেরেকের টুইটের ফলে দেশবাসীর কাছে তা এখন জলের মতো পরিস্কার।