দোরগোড়ায় লোকসভা নির্বাচন। রাফাল, সিবিআই, ইভিএমের মতো নানা ইস্যুতে একেই বিপাকে বিজেপি। তার ওপর এবার কেন্দ্রের মোদী সরকারের বিরুদ্ধে রাফাল কেলেঙ্কারির নয়া তথ্য ফাঁসের হুমকি দিলেন সমাজকর্মী আন্না হাজারে। দুর্নীতি দমনে কেন্দ্রে লোকপাল এবং রাজ্যগুলিতে লোকায়ুক্ত নিয়োগের দাবি-সহ মোট পাঁচ দফা দাবিতে আগামী ৩০ জানুয়ারি থেকে ফের অনির্দিষ্টকালের জন্য অনশনে বসতে চলেছেন তিনি। একইসঙ্গে উল্লিখিত দাবিতে সারা দেশের মোট ১৫টি রাজ্যে আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করবেন আন্না হাজারের অনুগামীরাও।
গতকাল তিনি বলেন, ‘আমার হাতে রাফাল কেলেঙ্কারির কিছু কাগজ এসেছে। দু’দিনের মধ্যে আমি তার যাবতীয় তথ্য খতিয়ে দেখব। তারপর শুধু রাফাল নিয়ে আমি সাংবাদিক সম্মেলন করব।’ তবে রাফাল দুর্নীতি সংক্রান্ত ওই কাগজের সূত্র কী, তা স্পষ্ট করেননি আন্না। এমনিতেই আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে মোদী বিরোধিতায় তৃণমূল ও কংগ্রেস-সহ দেশের সমস্ত বিরোধী রাজনৈতিক দলের অন্যতম হাতিয়ার কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ওঠা রাফাল কেলেঙ্কারির অভিযোগ। তাই রাজনীতিবিদদের মতে, ভোটের মুখে রাফাল দুর্নীতি ফাঁসের হুমকি দিয়ে মোদী সরকারকে আরও কোণঠাসা করতে উদ্যোগী হয়েছেন আন্না।
অন্যদিকে রাফাল নিয়ে বিজেপি-কংগ্রেস তরজা অব্যাহত। লোকসভায় রাফাল ইস্যুতে আলোচনার সময় এবং পরে তারপরেও টুইট বার্তায় কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের সঙ্গে তীব্র বিতণ্ডায় জড়িয়েছিলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। আন্না হাজারের হুঁশিয়ারির পর রাফাল প্রশ্নে কংগ্রেস আরও বড় অস্ত্র পেয়ে গেল বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।
অন্যদিকে, দুর্নীতি দমন ইস্যুতেও মোদীর তীব্র সমালোচনা করেছেন আন্না। তিনি বলেন, ‘কেন্দ্রে বিজেপি সরকারের পাঁচ বছর পূর্ণ হতে চলেছে। তা সত্ত্বেও লোকপাল নিয়োগ নিয়ে টালবাহানা করা হচ্ছে। অথচ ক্ষমতায় আসার আগে নরেন্দ্র মোদী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, সরকার গড়েই তিনি লোকপাল নিয়োগ করবেন। এই সরকার কোনও রকম সাংবিধানিক রীতিনীতির তোয়াক্কাই করে না।’ তাঁর প্রশ্ন, ‘সংবিধান না মানলে আর সরকারের তকমা দেওয়া হবে কেন? সেক্ষেত্রে কাপড়ের দোকান আর সরকারের মধ্যে ফারাক কোথায়?’