ইভিএম কারচুপি করেই ২০১৪ সালে ভোটে জিতেছিল বিজেপি। সেই কারচুপি ফাঁস হয়ে যাওয়াতেই সরিয়ে দেওয়া হয় গোঁপীনাথ মুণ্ডে ও সাংবাদিক গৌরী লঙ্কেশকে। মার্কিন সাইবার বিশেষজ্ঞ সৈয়দ সুজা এমন চাঞ্চল্যকর দাবি সামনে আনতেই সারা দেশে আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। এবার ইভিএম যুগের অবসান ঘটাতে সোমবার রাতে টুইট করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ওই টুইটে মমতা লেখেন, ‘আমাদের গণতন্ত্র রক্ষা করতেই হবে। আপনাদের প্রতিটি ভোট মূল্যবান। # ইউনাইটেড ইন্ডিয়া অ্যাট ব্রিগেডের পর সকল বিরোধী দল ইভিএমের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছি। আমরা সকলে একসঙ্গে কাজ করছি। ১৯ জানুয়ারি আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি এই বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের কাছে তুলে ধরব। হ্যাঁ, প্রতিটি ভোট মূল্যবান’।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের ২৬ মে মোদী সরকারের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন গোপীনাথ মুণ্ডে। একসপ্তাহের মধ্যে পথ দুর্ঘটনায় তাঁর মৃত্যু হয়। সুজার দাবি হ্যাকিংয়ের কথা ফাঁস হয়ে যাবে, সেই ভয়েই গোপীনাথকে সরিয়ে দেওয়া হয়। শুধু গোপীনাথ মুন্ডে নয়, সৈয়দ সুজার কাছ থেকে ইভিএম দুর্নীতির বিষয়টি জেনেছিলেন সাংবাদিক গৌরী লঙ্কেশ। তিনিও বিষয়টি ফাঁস করে দেওয়ার কথা ভাবছিলেন। সেই রিপোর্ট প্রকাশের আগেই অজ্ঞাতপরিচয় আততায়ীর গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে গিয়েছিল তাঁর দেহ। এই হত্যাও পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেছেন এই মার্কিন সাইবার বিশেষজ্ঞ।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ব্রিগেড সমাবেশের দিনই ইভিএম কারচুপি নিয়ে সরব হন ফারুখ আবদুল্লা। বিষয়টি নিয়ে নির্বাচন কমিশনারের কাছে দরবার করার প্রস্তাবও নেওয়া হয়। তার দুদিনের মধ্যে ইভিএম বিতর্ক চাঞ্চল্যকর মোড় নিল। এরপরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টুইটে বলেন, প্রতিটা ভোটই নিশ্চিত করতে হবে। আর তার জন্য যে ইভিএম একেবারেই নিশ্চিত নয়, সেটা ক্রমশ স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে।