‘ইউনাইটেড ইন্ডিয়া’ গড়ার লক্ষ্যকে বাস্তবায়িত করতে ব্রিগেডের পর মহাজোটের নেতাদের নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে নির্বাচনী কমিটি গড়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শনিবার বিকেলে ব্রিগেডের সমাবেশ শেষ হওয়ার পর আলিপুরের সৌজন্য পেক্ষাগৃহে এক চা চক্রে মিলিত হন বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির নেতারা। তারপর সকলে একসঙ্গে হাজির হন সাংবাদিক বৈঠকে। উপস্থিত ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, চন্দ্রবাবু নাইডু, অরবিন্দ কেজরিওয়াল, অখিলেশ যাদব, অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি, ফারুক আবদুল্লা, সতীশ মিশ্র প্রমুখ।
সাংবাদিক বৈঠকে বিরোধীদের নিয়ে বিশেষ নির্বাচনী কমিটি তৈরির কথা ঘোষণা করেন মমতা। তৃণমূল নেত্রী জানান, কমিটিতে থাকবেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল, অখিলেশ যাদব, অভিষেক মনু সিংভি ও সতীশ মিশ্র। এই কমিটি-ই নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে কথা বলবে। ইভিএম-এ কারচুপি, গোলমালের বিষয়ে অবিলম্বে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন মমতা।
ব্রিগেডের মঞ্চেই ইভিএম নিয়ে আপত্তির কথা প্রথম বলেন ফারুক আবদুল্লা। পরে সাংবাদিক বৈঠকেও ইভিএম নিয়ে তাঁদের আপত্তির কথা জানান একাধিক বিরোধী নেতা। কংগ্রেস নেতা অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি বলেন, তাঁরা চান ইভিএম-এর বদলে ব্যালট পেপারেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। কিন্তু যেহেতু লোকসভা ভোট আসন্ন ও হাতে বেশি সময় নেই, তাই ঠিক হয়েছে বিরোধী নেতৃত্বের তরফে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে দেখা করে তাঁদের আশঙ্কার কথা ও অবাধ নির্বাচনের দাবি জানানো হবে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, ‘বিরোধী জোটের আগামী কর্মসূচি, সভা, সমাবেশ নিয়ে খুব শীঘ্রই মিটিং করে সব ঠিক করা হবে।’ লোকসভা ভোটের আগে সংসদের শেষ অধিবেশনে বিরোধী নেতৃত্ব ফের মিলিত হয়ে যৌথ কর্মসূচি নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন বলে তিনি ইঙ্গিত দেন মমতা। জয়ের পর এই ব্রিগেডেই বিরোধীদের বিজয় সমাবেশ হবে বলে আশা প্রকাশ করেন অখিলেশ।
বৈঠক শেষে অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু বলেন, দেশভাগের রাজনীতি চলছে, দেশকে বাঁচাতে হবে। অবাধ ও সুষ্ঠ নির্বাচন যাতে হয় তা নিশ্চিত করতে কমিশনকে অনুরোধ জানান ফারুখ আবদুল্লা।