দোরগোড়ায় লোকসভা নির্বাচন। নতুন বছরের শুরু থেকেই বেজে গেছে ভোটের দামামা। আবার আগামী ১ ফেব্রুয়ারি বিদায়ী বিজেপি সরকারের শেষ বাজেট। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে হারাতে ক্রমেই একাকাট্টা হচ্ছে বিরোধীরা। বিজেপিকে ফিনিশ করতে আজও বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে যোগ দিচ্ছেন দেশের তাবড় তাবড় বিরোধী নেতারা। ফলে এবারের ভোট বৈতরণী পার করতে ওই অন্তর্বর্তী বাজেটকেই হাতিয়ার করতে পারেন তিনি। রাজনৈতিক মহলের জল্পনা, একাধিক জনমোহিনী সিদ্ধান্ত নিতে পারেন প্রধানমন্ত্রী। আর সেই সব সিদ্ধান্তের জন্যই সরকারি কোষাগার থেকে খরচ হতে পারে প্রায় ১ লক্ষ কোটি টাকা।
গত ডিসেম্বরেই গোবলয়-সহ ৫ রাজ্যের নির্বাচনেই ভরাডুবি হয়েছে পদ্মের। মূলত কৃষক অসন্তোষের ফলেই ধাক্কা খেয়েছে বিজেপি। তাই লোকসভা ভোটের আগে অন্তর্বর্তী বাজেটে বেশ কিছু জনমুখী সিদ্ধান্ত নিতে পারেন মোদী। সেই তালিকায় থাকতে পারে সরাসরি কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে আর্থিক সাহায্য, সুদহীন কৃষিঋণের মতো সুযোগ সুবিধা। স্বাভাবিকভাবেই এতে দেশের রাজস্ব ঘাটতি কমানোর পরিকল্পনা ধাক্কা খাবে। যা দেশের অর্থনীতির জন্য আশঙ্কাজনক। ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে দেশের রাজস্ব ঘাটতির পরিমাণ ছিল ৫.৯ লক্ষ কোটি টাকা। যা জিডিপির প্রায় ৩.৫ শতাংশ।
অন্যদিকে, এবারের বাজেট ‘ভোট অন অ্যাকাউন্ট’-এর থেকে দীর্ঘ হবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। তবে একইসঙ্গে ভোটের আগে জনমোহিনী বাজেটের জল্পনাও খারিজ করে দিয়েছেন জেটলি।