ব্রিগেডের আগের দিন থেকেই পাওয়ার ব্লক নিতে শুরু করল রেল। রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বর্ধমান মেন শাখার চুঁচুড়া থেকে পালসিটের মধ্যে ১০৫ মিনিট করে পাওয়ার ব্লক শুরু। আপ, ডাউন ও রিভার্সেবল লাইন সবই বন্ধ থাকবে। এছাড়া বেশ কিছু ট্রেন কর্ড দিয়ে ঘুরিয়ে চালানো হচ্ছে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কবিগুরু এক্সপ্রেস। ফ্রেট করিডরের কাজে খানা-গুমানি-মালদহ শাখায় ১.৪৫ মিনিট থেকে প্রায় এগারো ঘণ্টা পাওয়ার ব্লক নেওয়া হচ্ছে। তৃণমূলের নেতারা এটাকে অভিসন্ধিমূলক বলে মনে করেছেন। তাঁদের মতে, কেন্দ্রের পরিচালনায় রেল জেনে বুঝেই কাজের অছিলায় এই ব্লক নিচ্ছে। যাতে মিছিলে মানুষজন আসতে অসুবিধা হয়। হাওড়া স্টেশনে মিছিল সামলানোর দায়িত্বে থাকা বাণী সিংহ বলেন, ‘এভাবে মানুষকে হয়রান করা হলেও আটকানো যাবে না। কারণ, ওঁরা জানেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে মানুষ শতবাধা উপেক্ষা করেও ব্রিগেডে আসবেন’।
রাতভর বিভিন্ন ট্রেনে প্রায় এগারো হাজার মানুষ হাওড়া এসেছেন। আজ সকালেও পুরুলিয়া থেকে দু’হাজার মানুষ এসে পৌঁছান বলে জানান হাওড়া যানবাহনের দায়িত্বে থাকা তৃণমূল নেতা বিভাস হাজরা। দু’দিন আগেই হাওড়া স্টেশনের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন রেল পুলিশের ডিজি অধীর শর্মা। মিছিলে আগতরা যাতে নির্বিঘ্নে হাওড়া স্টেশন থেকে সরাসরি হাওড়া ব্রিজে যেতে পারেন সেই জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে প্রশাসন। পুরনো স্টেশনের ক্যাবওয়েটির অর্ধেকটা গার্ড রেলিং দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে। যাতে সেই ঘেরা অংশ দিয়ে মানুষজন স্টেশনের বাইরে এসে একেবারে ট্যাক্সি স্ট্যান্ডের পাশ দিয়ে সরাসরি ব্রিজে যেতে পারেন। এজন্য বাঁশ দিয়ে ঘিরে একটি পায়ে হাঁটার অস্থায়ী লেন করে দেওয়া হয়েছে। যা ব্যবহার করবেন মিছিলে আগতরা। শিয়ালদহেও এমন আলাদা লেন তৈরি হয়েছে মিছিলে আসা মানুষজনের জন্য। বৃহস্পতিবার রাত থেকে মালদহ ও মুর্শিদাবাদের বহু মানুষজন শিয়ালদহে আসতে শুরু করেছে। তাদের নিয়ন্ত্রণ করতে ওই স্টেশনে রয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ও রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। জ্যোতিপ্রিয়ও বলেন, ‘দুপুর পর্যন্ত প্রায় পঞ্চাশ হাজার মানুষ শিয়ালদহে এসেছেন। কলকাতা স্টেশনে দশ-বারো হাজার মানুষ এসেছেন’।