ব্রিগেডের প্রস্তুতি প্রায় শেষ। আজ শুক্রবার রাতের মধ্যেই তৈরি হয়ে যাবে মঞ্চ। আর মূল মঞ্চে জ্বল জ্বল করবে ভারতের মানচিত্র। এভাবেই এই মুহূর্তে দেশের মানচিত্রের রাজনৈতিক তাৎপর্য তুলে ধরতে চলেছেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ব্রিগেডের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখে মমতা স্পষ্ট করে দিয়েছেন, শনিবারের মহাব্রিগেড থেকে ভারতের অখণ্ডতা রক্ষার বার্তা দেওয়াই তাঁর লক্ষ্য। এই অখণ্ডতা হল অসহিষ্ণুতার বিরুদ্ধে সহিষ্ণুতা ও সম্প্রীতির।
দীর্ঘদিন ধরেই বিজেপি বিশেষ করে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে জাতি-ধর্ম-বর্ণ-র সম্প্রীতিকে খণ্ড করার অভিযোগ তুলছে বিরোধীরা। তাই ঐক্যের বার্তা দিতে মমতা বলেন, ‘এই সমাবেশ ইউনাইটেড ইন্ডিয়ার সমাবেশ। এটা বিজেপির বিরুদ্ধে ২০১৯-এর যুদ্ধের মঞ্চ’। প্রত্যেক রাজনৈতিক দল তার বার্তা দেবে। এই সমাবেশ থেকে প্রত্যেক রাজনৈতিক দলের বলার স্বাধীনতা থাকবে’।
ইতিমধ্যে দেশের সব প্রান্তের মানুষকে বার্তা দিতে দলের টুইটার হ্যান্ডেল থেকেও এদিন বিশেষ প্রাদেশিক ভাষায় ব্রিগেডের প্রচার করা হয়েছে। বসপা-র পক্ষ থেকেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে মায়াবতীর হয়ে প্রতিনিধিত্ব করতে আসছেন দলের সেকেন্ড ইন কম্যান্ড সতীশ মিশ্র। বিরোধী মহাগটবন্ধনের ষোলো কলা পূর্ণ হওয়ায় দৃশ্যতই খুশি মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বলেন, ‘এটা মানুষের মহাজোট’।
শনিবারের সভা নিয়ে তৃণমূলনেত্রীর সিদ্ধান্তগুলিও বিজেপির বিরুদ্ধে অসামান্য রাজনৈতিক পদক্ষেপ বলা চলে। একের পর এক শরিক যখন এনডিএ ছাড়ছে। তখন তৃণমূলনেত্রী একসঙ্গে চলার বার্তা তুলে ধরতে চাইছেন। তাই মঞ্চে হাজির অ-তৃণমূল সব নেতাকেই ব্রিগেডে বলার সুযোগ দেবেন তিনি। কংগ্রেস তাঁর আমন্ত্রণ রক্ষা করলেও মমতা বুঝিয়ে দিয়েছেন, রাজ্যভিত্তিক দলগুলিকে নিয়ে তাঁর ফেডারাল-রাজনীতি পয়লা নম্বর লক্ষ্য। তাই সভার প্রস্তুতি দেখার ফাঁকে ব্রিগেডে দাঁড়িয়ে মমতা বলেন, ‘রাজ্যভিত্তিক দলগুলি সম্মিলিতভাবে নির্ধারণ করবে ২০১৯-এর ভাগ্য’।
আজ শুক্রবার দুপুর থেকেই দেশের রাজনৈতিক নেতারা কলকাতায় আসতে শুরু করবেন। মমতার কথায়, ‘ব্রিগেডের এই সমাবেশ ঐতিহাসিক সমাবেশ হবে। এই সভাই হবে ঐক্যবদ্ধ ভারতের সভা’।