মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে দেশের শীর্ষ নেতারা যেমন আসছেন, তেমনই শুক্রবার সকাল থেকেই আসতে শুরু করে দিয়েছেন জেলার কর্মী-সমর্থকরা। শনিবার তৃণমূলের ঐতিহাসিক ব্রিগেডে সমাবেশ। সেখানে যোগ দিতে দূরের জেলাগুলি থেকে যে কর্মী-সমর্থকরা হাওড়ায় এসে নামছেন, আজ দু’বেলা তাঁদের থাকা-খাওয়ার দায়িত্ব হাওড়া জেলার কাঁধেই বর্তেছে। নেত্রীর দেওয়া দায়িত্ব পালন করতে তাই শুক্রবার সকালেই বেরিয়ে পড়েছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূলের হাওড়া জেলার সভাপতি অরূপ রায়।
সালকিয়ার শ্যাম গার্ডেন-সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় কর্মী-সমর্থকদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। মোট ৫০ হাজার মানুষের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করা গেছে বলে জানানো হয়েছে হাওড়া জেলা তৃণমূলের তরফে। অরূপ আজ বেলায় সেখানে পরিদর্শনে যান বলে খবর। সঙ্গে ছিলেন প্রাক্তন ক্রিকেটার তথা ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ দফতরের প্রতিমন্ত্রী লক্ষ্মীরতন শুক্ল। কেমন চাল দেওয়া হচ্ছে, রান্নায় কী তেল ব্যবহার হচ্ছে, সব খতিয়ে দেখেন মন্ত্রী। এবং তা করতে গিয়ে তিনি নিজে খানিকক্ষণ খুন্তি হাতে রান্নাও করলেন।
অন্যদিকে, লক্ষ্মী মন্ত্রী হলেও আদতে একজন ক্রিকেটার। ফলে খাবারের ব্যাপারে অত্যন্ত সচেতন তিনি। তাই সবাই যাতে পেটপুরে খেতে পারেন, সেই কারণে হেঁসেলে ঢুকে লক্ষ্মী নির্দেশ দিলেন খাবারে ঝাল কম দেওয়ার। তাঁর কথায়, ‘বেশি লঙ্কা দিও না। ঝাল কম দিয়ে রান্না করো।’
মেনুতে কী থাকছে? এ প্রশ্নের উত্তরে অরূপ জানান, মেনুতে থাকছে ভাত, রুটি, ডাল, আলু-পেঁয়াজ দিয়ে একটা তরকারি আর চিকেন। শনিবার সকালে ব্রিগেডের দিকে রওনা হওয়ার আগে খিচুড়ি এবং আলু-ফুলকপির তরকারি খাওয়ানো হবে বলেও জানান তিনি। শুক্রবার সারা রাত হাওড়া স্টেশনের বাইরে ক্যাম্প থাকবে বলে জানিয়েছেন তৃণমূলের হাওড়া জেলা সভাপতি। এছাড়া শনিবার জেলার একাধিক জায়গায় থাকবে স্বেচ্ছসেবকদের ক্যাম্প। দূরের জেলাগুলি থেকে যাঁরা বাসে বা গাড়িতে আসবেন তাঁদের অধিকাংশটাই দ্বিতীয় হুগলি সেতু হয়ে। সেই রুটকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সলপ, সাঁতরাগাছি-সহ একাধিক জায়গায় ক্যাম্প করা হবে।
ব্রিগেডে সমাবেশ হলে প্রতিবারই হাওড়া জেলার উপর বাড়তি দায়িত্ব পড়ে। কারণ অধিকাংশ জেলার জমায়েতই ট্রেন অথবা বাসে হাওড়া হয়েই কলকাতায় ঢোকে। এ বারও তার অন্যথা হয়নি। আর ‘ইউনাইটেড ইন্ডিয়া’-র সমাবেশকে সফল করতে ঐক্যবদ্ধ হাওড়া জেলার নেতা থেকে কর্মী সকলেই। তাঁদের লক্ষ্য এখন একটাই। দূর থেকে যাঁরা এসেছেন তাঁদের আতিথেয়তায় যেন কোনও ত্রুটি না হয়। এ ব্যাপারে কড়া নজর রেখেছেন তৃণমূল জেলা সভাপতি অরূপ।