বিবেকানন্দের ১৫৬ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে রাজ্য জুড়ে চলছে স্বামীজি স্মরণ। শনবার সকালে একটি টুইটের মাধ্যমে তাঁকে শ্রদ্ধা জানান বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মমতা টুইটে লেখেন, ‘ আজ একজন মহান প্রচারক এবং দার্শনিক স্বামী বিবেকানন্দের জন্মবার্ষিকী। তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে গোটা রাজ্য জুড়ে বিবেক উৎসব পালিত হচ্ছে। যে শান্তি এবং ভ্রাতৃত্ববোধের বাণী তিনি প্রচার করে গেছেন আমাদের অবশ্যই তা মনে রাখা উচিৎ। স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিন জাতীয় যুব দিবস হিসাবেও উদযাপিত হয়। দেশের যুব প্রজন্মের তাই একসাথে এগিয়ে এসে বর্তমানের এই হিংসা-ঘৃণা এবং অনিশ্চয়তা দূর করে দেশের মুখ উজ্জ্বল করা উচিৎ।’
১৯৮৪ সালে ভারত সরকার এই দিনটিকে ‘জাতীয় যুব দিবস’ বলে ঘোষণা করেন। ১৯৮৫ সাল থেকে প্রতি বছর নানা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সারা দেশে জাতীয় যুব দিবসপালিত হয় স্বামী বিবেকানন্দের স্মরণে। বাঙালি জাতিকে, হিন্দু ধর্মকে তিনিই প্রথম বিশ্বের দরবারে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোয় তাঁর সেই বক্তৃতার কথা আজও ভোলেননি কেউ। তিনি বুঝেছিলেন, আকাশে, পাতালে বা কোনও ধর্মীয় ইমারতে নয়, ঈশ্বর রয়েছেন মানুষের মধ্যেই। আর এই তত্ত্বটিকে ‘শিবজ্ঞানে জীবসেবা’ বলেই ব্যাখ্যা করেছিলেন তিনি।
জাতপাতে ভেদাভেদ কোনও দিনই মানতেন না স্বামীজী। তিনি বলতেন, বিশ্বাস করতেন, আমরা সকলেই ঈশ্বরের সন্তান। তাই কোনও মানুষের মধ্যে কোনও জাতপাতের ভেদাভেদ থাকতে পারে না। জন্মদিনে স্বামীজির বাণী ও দর্শন অনুসরণের শপথ নিচ্ছে যুবসমাজ।