ব্যাট করতে নেমে ৪ রানে ৩ উইকেট। অস্ট্রেলিয়ার দেওয়া ২৮৯ রানের লক্ষ্যে নেমে ভারতের শুরুটা হয়েছিল এরকমই ভয়াবহ। রোহিত শর্মা ও মহেন্দ্র সিং ধোনি সেই ধাক্কা সামলিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। কিন্তু শেষ রক্ষা আর হয়নি। সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৩৪ রানে হেরেছে বিরাট কোহলির দল। ৩ ম্যাচের একদিনের সিরিজের প্রথম ম্যাচ জিতে অনেকটাই মনোবল পেল অস্ট্রেলিয়া। বাকি ২টির মধ্যে ১টি জিততে পারলেই সিরিজ পকেটে পুরবে তারা।
সাদা পোশাকে দেশের মাটিতে প্রথমবারের মতো ভারতের কাছে বিধ্বস্ত হয়েছে অস্ট্রেলিয়া। সেই ধাক্কা সামলিয়ে রঙিন পোশাকে সিরিজটা জয় দিয়ে শুরু করেছে অ্যারন ফিঞ্চের দল।
শনিবার সিডনিতে ভারতীয় ইনিংস একাই গুড়িয়ে দিয়েছেন জে রিচার্ডসন। ২৬ রান খরচায় তুলে নিয়েছেন ভারতের ৪টি উইকেট। যার মধ্যে আছে বিরাট কোহলির উইকেটটিও।
এদিন ভারতীয় ইনিংসে প্রথম হানা দেন জ্যাসন বেহরেনডর্ফ। ২৮ বছর বয়সী এই পেসারের এটি ছিল অস্ট্রেলিয়ার হয়ে প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ। আর বল করতে এসে প্রথম ওভারের শেষ বলেই তুলে নেন ভারতীয় ওপেনার শিখর ধাওয়ানকে।
এরপর শুরু রিচার্ডসনের তোপ। তুলে নেন কোহলি (৩) ও আম্বাতি রাইডুর (০) উইকেট। ভারতের রান তখন ৪, উইকেট নেই তিনটি! এখান থেকে ১৩৭ রানের জুটি গড়েন ধোনি ও রোহিত। কিন্তু অজি বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে বলে রানে সমান তালে এগুতে পারেননি তারা। ফলে রিকোয়ার্ড রানরেট বাড়তে থাকে হুহু করে। যা আর সামাল দিতে পারেনি কোহলির দল।
ধোনির প্রতিরোধ থামিয়ে দেন বেহরেনডর্ফ। ভারতের বিশ্বকাপ জয়ী এই অধিনায়ককে নিজের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত করেন তিনি। ধোনির ৫১ রানের ইনিংসটি ছিল ৯৬ বলে করা।
এরপর একাই লড়াই চালিয়ে যান রোহিত শর্মা। এরই ফাঁকে ক্যারিয়ারের ২২তম ওয়ানডে সেঞ্চুরি তুলে নেন রোহিত। কিন্তু তার প্রতিরোধ থামিয়ে দেন মার্কাস স্টোইনিস। ফলে ব্যক্তিগত ১৩৩ রানে মাঠ ছাড়েন এই ওপেনার। ১২৯ বলে করা তার ইনিংসটি ছিল ৬টি ছক্কা ও ১০টি চারে সাজানো। সর্বশেষ নির্ধারিত ৫০ ওভার ব্যাট করে ৯ উইকেটে ২৫৪ রান পর্যন্ত করতে পারে ভারত।
এর আগে উসমান খাজা, শন মার্শ ও পিটার হ্যান্ডসকম্বের তিনটি হাফ সেঞ্চুরিতে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৫ উইকেটে ২৮৮ রানের সংগ্রহ পায় অস্ট্রেলিয়া। খাজা ৫৯, মার্শ ৫৪ ও হ্যান্ডসকম্ব ৭৩ রান করেন। এছাড়া স্টোইনিস অপরাজিত ৪৭* ও অ্যালেক্স ক্যারি ২৪ রান করেন।
ভারতের হয়ে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন ভুবনেশ্বর কুমার ও কুলদিপ যাদব।