খেলবেন তিনি। গোল করবেন তিনি। ম্যাচ বাঁচাবেনও তিনিই। শনিবাসরীয় দুপুরে যুবভারতীতে মোহনবাগান বনাম নেরোকা ম্যাচের সারাংশ মোটামুটিই এরকমই। কারণ, গোটা ৯০ মিনিট মাঠে ঘুরে বেড়ানো ফুটবলারদের মধ্যে তাঁরই তাগিদ বেশি নজরে পড়ল। আই লিগে প্রায় ডুবন্ত মোহন-তরীকে যে একমাত্র তিনিই ভাসিয়ে রাখতে পারবেন তা এদিন ফের প্রমাণ করলেন সনি নর্ডি।
এদিন দুই অর্ধ মিলিয়ে শুধু সনিময় বাগানের ফুটবল। বাকিরা তথৈবচ। মাঝমাঠ ও রক্ষণভাগের মধ্যে কোনও বোঝাপড়া নেই, একাধিকবার নেরোকার কাটসুমি-সুভাষরা বল নিয়ে স্প্রিন্ট করে মোহনবাগানের বক্সে ঢুকে পড়ছেন। কে তাঁদের ব্লক করবে বুঝতেই পারছেন না কিমকিমা, গুরজিন্দররা। প্রথমার্ধে বেশ কিছু সুযোগ তৈরি করে নেরোকা। ভাগ্য সহায় থাকলে গোলও পেয়ে যেত তারা। মাঝমাঠে ড্যারেন কালডেরা সত্যি অচল। সতীর্থদের উপর ভরসা না করে এদিন সনিই বল নিয়ে উঠলেন-নামলেন। বিরতির পরও সেই ছবিই দেখা গেল। ডিকার মধ্যে গোল খিদে আর নেই, তা তাঁর খেলাতে স্পষ্ট। মোহনবাগানের আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়ে আজহারউদ্দিনের বদলে ফৈয়াজ নামায়।ফৈয়াজ নামার পর কিছুটা স্বস্তি পান সনি। ফলাফল, দুর্ধর্ষ প্লে-মেকারের ভূমিকায় দেখা যায় তাঁকে। গোলও আসে তাঁর পা থেকে। চলতি লিগে ৪ নম্বর গোল করলেন তিনি। ম্যাচের শেষদিকে আরও একটা সুযোগ পেয়েছিলেন সনি। কিন্তু অল্পের জন্য গোল মিস হয়। সবমিলিয়ে এদিন তিনিই দ্রষ্টব্য ছিলেন।
এই জয়ের পর পঞ্চম স্থানে উঠে মোহনবাগান। ১৩ ম্যাচে ২১ পয়েন্ট।