চাকরিতে উচ্চবর্ণের সংরক্ষণের কথা ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের রায়কে সামনে এনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন তোলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টকে মানলে ৫০ শতাংশের বেশী সংরক্ষণ হয় না। তাহলে এই সিদ্ধান্ত সাংবিধানিক পথে কীভাবে কার্যকর করবে বিজেপি?
আজ মঙ্গলবার এই ইস্যুতেই সাংসদে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ধর্নায় বসেছিলেন তৃণমূলের সাংসদেরা। প্ল্যাকার্ড হাতে স্লোগান দিচ্ছিলেন তাঁরা। হঠাৎ দেখা গেল, সেই শান্তিপূর্ণ ধর্না তুলতে লাঠি নিয়ে তেড়ে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। না, ইনি আসল মোদী নন, প্রতীকী। আসলে মোদীর মুখোশ লাগিয়ে প্রতীকী প্রতিবাদ দেখালেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেন। মোদী সরকার গোটা দেশে গণতন্ত্রকে হত্যা করছে বলে অভিযোগ করেন বিরোধীরা। ওই ধর্নায় মোদীর মুখোশ পরে তৃণমূল আসলে বোঝাতে চাইল, কীভাবে মোদী সরকার গোটা দেশের গণতান্ত্রিক অধিকারের ওপর আঘাত হানছে।
সংবিধানের ১৫ (৪) ও ১৬ (৪) ধারা অনুয়ায়ী সংরক্ষণের সীমা ৫০ শতাংশ বেঁধে দেওয়া হয়েছে। শীর্ষ আদালত তার রায়ে এও বলেছে, কেন্দ্র ও রাজ্যগুলি সবাই সাধারণভাবে এই সীমারেখা সংবিধান সম্মত ভাবে স্বীকার করে নিয়েছে। তারপরেও বর্তমানে থাকা ৪৯.৫ শতাংশ সংরক্ষণের পাশাপাশি উচ্চবর্ণের জন্য আরও ১০ শতাংশ সংরক্ষণের ব্যবস্থা করেছে মোদী সরকার। সংবিধান বিরোধী এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সুপ্রিম কোর্টকে হাতিয়ার করে এদিন ধর্নায় বসেছিল তৃণমূল।