প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দিল্লীর মসনদে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখতে চান দিলীপ ঘোষ। লোকসভা ভোটের ঠিক আগে বঙ্গ বিজেপির সভাপতির মুখেই শোনা গেল, বাঙালি প্রধানমন্ত্রী হলে ওঁর সুযোগ রয়েছে।
২০১৯-এ বিজেপি বিরোধী মহাজোট নিয়ে চলছে জোর চর্চা। ডিসেম্বরে দিল্লিতে গিয়ে মহাজোটের বৈঠক করে এসেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে মধ্যমণি করেই আবর্তিত হচ্ছে এই জোট। স্বাভাবিকভাবেই প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসাবে জোরালো ভাবে উঠে আসছে মমতার নাম। ফিরহাদ হাকিম থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়দের মুখেও শোনা গিয়েছে বাঙালি প্রধানমন্ত্রীর নাম। এহেন প্রেক্ষাপটে বিজেপির রাজ্য সভাপতির দিলীপ ঘোষ জানিয়ে দিলেন, বাঙালি প্রধানমন্ত্রী হলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুযোগ রয়েছে।
কী বললেন দিলীপ? বিজেপির রাজ্যসভাপতি বলেন, ‘ওনাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাই।
তাঁর সাফল্যের উপরে পশ্চিমবঙ্গের ভাগ্য নির্ভর করছে। উনি সুস্থ থাকলে বাঙালি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্ভাবনা রয়েছে। ওঁর কাছে সে সুযোগ আছে। সিপিএমের কারণে জ্যোতিবাবুকে ফসকে ফেলেছি। এর আগে প্রণববাবু রাষ্ট্রপতি হয়েছেন, এবার বাঙালি প্রধানমন্ত্রী দরকার।’ বিজেপি থেকেও তো বাঙালি প্রধানমন্ত্রী হতে পারে? দিলীপের জবাব, এখনই সেই সুযোগ নেই।
https://www.facebook.com/ekhonkhobor18/videos/355641311921387/?t=1
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রী হলে দেশে রাম মন্দির তৈরি হবে বলে অতিসম্প্রতি মন্তব্য করেছিলেন কপিলমুনির আশ্রমের প্রধান পুরোহিত। তখনও দিলীপবাবুরা দিবাস্বপ্ন বলে উড়িয়ে দিয়েছিলেন। হঠাৎ কী এমন হল, যে মমতার প্রবল রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ দিলীপ ঘোষের মুখে উলটো সুর? আজকের সাংবাদিক বৈঠকে দিলীপের কথা বলার ভঙ্গী দেখে কেউ বলতে পারবেন না যে তিনি মমতাকে কটাক্ষ করে প্রধানমন্ত্রীর দাবিদার বলেছেন। আজকের সাংবাদিক বৈঠকে আসলে দিলীপ নিজের অবস্থান পরিষ্কার করে জানিয়েছেন। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, পাঁচ রাজ্যের ভোটের ফল দেখে দিলীপবাবু উনিশের দেওয়াললিখন পড়ে ফেলেছেন। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় রাজনীতিতেই বিজেপি বিরোধী মুখ হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম যে প্রথম সারিতে সে কথাই কার্যত স্বীকার করে নিলেন বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।