মমতা টালির বাড়িতে থাকেন। ১০০ টাকার চপ্পল পড়েন। ৩০০ টাকার শাড়ি। মুখ্যমন্ত্রীর সেই সাধারণ জীবনযাপন অথচ উচ্চ চিন্তা এবং লড়াকু রাজনীতির কথা তুলে ধরে নেতাজীর সঙ্গে মমতার তুলনা টানলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেইসময় মঞ্চে বসে মৃদু মৃদু ঘাড় নাড়লেন নেতাজীর নাতি সুগত বসু।
বারুইপুরে ব্রিগেডের প্রস্তুতি সভা থেকে যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আশি বছর আগে এক বাঙালি দিল্লী চলোর ডাক দিয়েছিলেন। আশি বছর পর ফের এক বাঙালি দিল্লি চলোর ডাক দিয়েছেন। আশি বছর আগের সেই বাঙালি ছিলেন দক্ষিণ কলকাতার বাসিন্দা। আশি বছর পরের এই বাঙালিও দক্ষিণ কলকাতার মানুষ। আশি বছর আগে সেই বাঙালি কংগ্রেস ছেড়েছিলেন। আশি বছর পরের এই বাঙালিও কংগ্রেস ছেড়ে বেরিয়ে এসে তৃণমূল কংগ্রেস গড়েছেন।’
অভিষেকের কথায়, ‘নেতাজি বলেছিলেন তোমরা আমাকে রক্ত দাও, আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেব। এখন বাংলায় দিলীপবাবুরা বলছেন, তোমরা আমাদের ভোট দাও, আমরা তোমাদের রক্তস্নাত বাংলা দেব। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, তোমরা আমাদের বিয়াল্লিশে বিয়াল্লিশ দাও, আমরা তোমাদের দিল্লির বুকে একটা প্রগতিশীল, ধর্ম নিরপেক্ষ সরকার দেব। এটাই ওদের সঙ্গে আমাদের পার্থক্য।’
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘পাবলিসিটি স্টান্ট’কে কটাক্ষ করে ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ বলেন, ‘ভোটের আগে প্রচার করে বেরিয়েছিলেন, চাওয়ালা দেশের প্রধানমন্ত্রী হবে। যাঁরা চা বিক্রি করেন, তাঁরা সৎভাবে নিজেদের জীবিকা নির্বাহ করেন। কিন্তু আমরা কখনও মোদীজিকে চা বিক্রি করতে দেখিনি। বরং আমরা দেখেছি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ১০০ টাকার চপ্পল এবং ৩০০ টাকার শাড়ি পরে, টালির বাড়িতে থাকতে।’