অগ্নিকান্ডের জন্য পরোক্ষভাবে দায়ী খোদ মেট্রোই। কারণ ঘটনার দিন কাজ করেনি মেট্রোর ‘ফায়ার অ্যালার্ম’। কাজ করেনি তাদেএ ‘স্মোক ডিটেক্টর’ও। ফলে গাফিলতি ছিল মেট্রোরই। ময়দান স্টেশন মেট্রো রেলের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তদন্তে নেমে এমনটাই জানতে পেরেছে দমকল। বৃহস্পতিবার এ কথা জানিয়েছেন খোদ রাজ্যের দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু।
গতকাল মন্ত্রী জানিয়েছেন, অগ্নিকান্ডের ঘটনার তদন্তের জন্য যে চার সদস্যের কমিটি গড়া হয়েছে সেই কমিটির সদস্যরা মেট্রোরেলের ২৪টি স্টেশন ঘুরে পরীক্ষা করে দেখেছেন। সমস্ত কিছু পরীক্ষা করেই কমিটি জানিয়েছে, স্মোক ডিটেক্টর এবং ফায়ার অ্যালার্ম-সহ আপৎকালীন অবস্থায় যাত্রী নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বেশ কিছু ত্রুটি রয়েছে মেট্রোর।
দমকল মন্ত্রী আরও বলেন, ‘ধোঁয়া বেরোনোর যে ব্যবস্থা থাকে, ঘটনার দিন সেটিও ঠিকভাবে কাজ করেনি। সেইসঙ্গে ট্রেনের মধ্যে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে ঠিকভাবে বের করার পদ্ধতিও ছিল না।’ এই ত্রুটিগুলি দূর করা ছাড়াও রাজ্য দমকল এ বিষয়ে মেট্রোকে একাধিক পরামর্শ দিয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী। তিনি স্পষ্ট জানান, এটি একটি কেন্দ্রীয় সংস্থা। প্রচুর লােকই মেট্রো দিয়ে যাতায়াত করে। আমার মনে হয় মেট্রোর গাফিলতি ছিল।
জানা গেছে, দমকলের তরফে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে আগুন নেভানোর জন্য যে ‘টিম’ আছে সেখানে যেন আগুন নেভানোর প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত কর্মীদের রাখা হয়। নিয়মিত যেন তারা মহড়া দেন। সেইসঙ্গে কোন কারণে ধোঁয়ার সৃষ্টি হলে তাড়াতাড়ি যাতে ধোঁয়া বেরোতে পারে, সেই ব্যবস্থা রাখতে হবে।
আবার, অন্ধকার হয়ে গেলেও যাতে ধোঁয়া বের করা যায় বা নিয়ন্ত্রণ করা যায় সেই ব্যবস্থা রাখারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে মেট্রোকে। সেইসঙ্গে রেকের মধ্যে যাতে ধোঁয়া না ঢোকে সেটাও দেখতে বলা হয়েছে দমকলের তরফে।
কোনও কিছু হলে যা মেট্রোর কন্ট্রোল রুম থেকে ট্রেনের যাত্রীদের মাইকে ঘোষণা করে জানানাে হয়, সেই ব্যাপারেও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, ‘ওভারহেড রিজার্ভার’ এবং সুরঙ্গে আপৎকালীন আলো রাখার বিষয়েও পরামর্শ দিয়েছে দমকল। উল্লেখ্য, ময়দান স্টেশনে অগ্নিকাণ্ডের পর মেট্রো অগ্নি সুরক্ষা আইনে নোটিশ দিয়েছে দমকল।