নতুন বছরের প্রথম দিন থেকেই চিতাবাঘ আতঙ্কে ভুগছে শিলিগুড়ি। বেঙ্গল সাফারি পার্কের এনক্লোজার থেকে শচীন নামের চিতাবাঘটি ১ তারিখ থেকেই বেপাত্তা। তন্নতন্ন করে তল্লাশি চালিয়েও পাওয়া যায়নি তাকে। সাধারণ মানুষের সাথে একই ভাবে চিন্তিত বনকর্মীরাও।
তিনদিন ধরে সকলকে রীতিমত নাজেহাল করে ছেড়েছে শচীন। তবে বনকর্মীরা মনে করছেন, বেঙ্গল সাফারির ভেতরে শচীন থাকলে একবার অন্তত দেখা যেত। গতকাল বেঙ্গল সাফারির বাইরে কিছু পায়ের ছাপ পাওয়া গেছে। যদিও বেঙ্গল সাফারির সহ-অধিকর্তা অসীম চাকি বলেন, ‘বাইরে যায়নি শচীন। ভেতরেই তার উপস্থিতির কিছু প্রমাণ পাওয়া গেছে।’
পশ্চিমবঙ্গ জু অথরিটির মেম্বার সেক্রেটারি বিনোদ যাদব বলেন, ‘বৃহস্পতিবার ড্রোন উড়িয়ে খোঁজা হবে। মঙ্গলবার রাতে রাইনো এনক্লোজারের সামনে তাকে একবার গাছে দেখা গিয়েছিল। যদিও নিমেষের মধ্যে পালিয়ে যায় সে। বিভিন্ন জায়গায় ৭টি ট্র্যাপ ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। আনা হয়েছে আরও বনকর্মী’।
শচীন পালিয়ে যাওয়ার পর নজরবন্দি করে রাখা হয়েছে তার আরেক সঙ্গী সৌরভকে। মঙ্গলবার রাতে খোলা জঙ্গল থেকে ‘নাইট শেলটার’-এ আনা হয় সৌরভকে। পর্যটকদের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয় লেপার্ড সাফারি।
ফলে মন খারাপ অনেকেরই। কলকাতা থেকে আসা বন্দনা চক্রবর্তী বলেন, ‘গাড়িতে বসে জানতে পারি, একটা চিতাবাঘ পালিয়ে গেছে। ভয়ও হচ্ছিল৷ জানালা দিয়ে হাতি ও গাড়ি নিয়ে বনকর্মীদের তল্লাশি চালাতে দেখছিলাম। ঝোপঝাড়ে বারবার চোখ রাখছিলাম। যদি দেখতে পাই চিতাবাঘটিকে!’
বুধবার বিকেলে জলদাপাড়ার হলং বাংলো থেকে জেনি ও সুন্দরমণি নামে দুই কুনকি হাতিকে আনা হয়। বুধবার পর্যটকদের জন্য সাফারি পার্ক খোলা ছিল। প্রথমে ঠিক হয়েছিল যাঁরা অনলাইনে টিকিট বুক করবেন তাঁদের সাফারি করানো হবে। তবে পর্যটকের সংখ্যা বাড়তে থাকে ফলে কর্তৃপক্ষ সকলকেই ঢুকতে দেয়। গেটের বাইরে থেকে সাফারির বাসে পর্যটকদের নিয়ে যাওয়া হয়।