লোকসভা ভোটের আগেই এবার মেয়াদ উত্তীর্ণ পুরসভাগুলিতে পরিষেবা সঠিকভাবে দিতে বিশেষ কমিটি গঠন করার সিদ্ধান্ত নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুর দপ্তরের প্রধান সচিব সুব্রত গুপ্তকে নির্দেশ দিয়ে মমতা বলেন, ‘যেখানে প্রশাসক আছে, তাঁদের অধীনে একটি করে ছোট কমিটি গড়ে দাও। কমিটিকে ক্ষমতা দাও তারা যেন প্রশাসককে কাজের বিষয় বলতে পারে’।
জেলার প্রতিটি পুরসভার নাম ধরে ধরে চেয়্যারম্যানদের থেকে জানতে চান, কাজ কেমন চলছে? এরপরেই হাওড়া পুরসভার প্রশাসকের কথা টেনে আনেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রশ্ন করেন, ‘প্রশাসকেরা কী আদৌ পুর পরিষেবা দেওয়া নিয়ে সচেষ্ট। হাওড়া পুরসভার প্রশাসক কী কাজ করছে? অখানে দশদিন ধরে জঞ্জাল সাফাই হয়নি। যেভাবে কাউন্সিলারেরা খোঁজ নিয়ে এলাকার কাজ করেন সেভাবেই পরিষেবা দিতে হবে। এরপরেই প্রশাসকদের অধীনে একটি করে কমিটি গড়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী পুর দপ্তরের প্রধান সচিব সুব্রত গুপ্তকে হাওড়া পুরসভায় গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেন তিনি।
রাজনৈতিক মহলের মতে, দুবরাজপুর, হাওড়ার মতো রাজ্যে একাধিক পুরসভা রয়েছে যেখানে ভোট না হওয়ায় একাধিক প্রশাসক কাজ চালাচ্ছেন। অনেক ক্ষেত্রেই পুর পরিষেবা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। প্রশাসক যেহেতু রাজ্য সরকারের আধিকারিক তাই প্রকারন্তরে বদনাম হচ্ছে সরকারের। লোকসভা ভোটে যাতে এর প্রভাব না পড়ে তাই মুখ্যমন্ত্রীর এই কড়া পদক্ষেপ বলেই রাজনৈতিক মহলের ব্যাখ্যা।
তবে শুধু কমিটি গঠনই নয়, লোকসভা ভোটের কথা মাথায় রেখে প্রতিটি পুরসভার প্রতিই বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। বীরভূম জেলার প্রতিটি পুরসভার চেয়ারম্যানের কাছ থেকে এলাকার খোঁজ নেন মুখ্যমন্ত্রী। কী চাহিদা রয়েছে জানাতে বলেন। সিউড়ি পুরসভার যানজট নিয়েও এদিন সরব হন মুখ্যমন্ত্রী। শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘিঞ্জি বলেও তিনি উষ্মা প্রকাশ করেন। বোলপুর পুরসভার চেয়ারম্যানকে শহর সুন্দর করে সাজিয়ে তোলার নির্দেশ দেন তিনি।