তাঁর দেওয়া প্রতিশ্রুতি মতো সব কাজই প্রায় শেষ। তবে আসন্ন লোকসভা ভোটের আগে বাকি পড়ে থাকা সামান্য কাজও সেরে ফেলতে চান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, মার্চের প্রথম সপ্তাহে লোকসভা ভোটের বিজ্ঞপ্তি জারি হতে পারে। তাই এর আগেই গ্রামীণ এলাকার উন্নয়নের কাজ জোরকদমে করার জন্য জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দিল রাজ্য।
জানা গেছে, ৩২২৯টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ৩০৬৫টিতে গ্রাম পঞ্চায়েত উন্নয়ন পরিকল্পনা (জিপিডিপি) তৈরি করা হয়েছে। ওই পরিকল্পনার রূপরেখা ‘প্ল্যান প্লাস’ সফটওয়্যারে ডাউনলোডও করা হয়েছে। পঞ্চায়েত দফতর এখন সেই রূপরেখা খতিয়ে দেখছে। তবে এখনও ছ’টি গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড তৈরি হয়নি। বহিরাগতদের তান্ডবের ফলে আইনশৃঙ্খলার অবনতির কারণে ওই সব গ্রাম পঞ্চায়েতে এখনও বোর্ড গঠন করা যায়নি। তবে রাজ্যের তরফে অবিলম্বে ওই গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিতে বোর্ড গঠন করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে অক্টোবর মাসের শেষ থেকে গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদে বোর্ড গঠনের কাজ শুরু হয়। কিন্তু পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, উত্তর ২৪ পরগনা, মালদহ প্রভৃতি জেলার ওই পঞ্চায়েত এলাকাগুলিতে আইনশৃঙ্খলার অবনতির আশঙ্কায় বোর্ড গঠন করা যায়নি। ফলে ওই সব এলাকায় গ্রামীণ উন্নয়নের কাজের গতি খানিকটা কমেছে। পাশাপাশি গ্রাম পঞ্চায়েত উন্নয়ন পরিকল্পনা (জিপিডিপি)-ও তৈরি হয়নি। তাই দ্রুত ওই গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিতে বোর্ড গঠন করে কাজ শুরু করতে চায় পঞ্চায়েত দফতর।
তবে বাকি যেসব পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন হয়েছে, সেখানে লোকসভা ভোটের আগে বিভিন্ন কর্মসূচি দ্রুতগতিতে পালন করার নির্দেশ জারি করা হয়েছে। ১০০ দিনের কাজ, গ্রাম সড়ক যোজনা, বাংলার আবাস যোজনা, আনন্দধারা, মিশন নির্মল বাংলা প্রভৃতি প্রকল্পের কাজ গ্রামে গ্রামে চলছে। সেই সব কাজে আরও গতি আনতে বছরের শুরুতেই রাজ্যের তরফে নির্দেশ পাঠানো হয়েছে। কারণ, লোকসভা ভোটের আগেই গ্রামীণ এলাকায় উন্নয়নের কাজ সেরে ফেলে, বিরোধীদের আঙুল তোলার কোনও সুযোগই দিতে চায় না সরকার।