আর মাত্র কয়েক দিনের অপেক্ষা। তার পরই ভারতীয় ফুটবল নেমে পড়ছে এএফসি এশিয়ান কাপ খেলতে। এশিয়ান কাপে ভারতীয় ফুটবল দলের পারফরমেন্সের পাশাপাশি দল কতটা এগোবে তা নিয়ে জল্পনা–কল্পনা চলছেই। তার মাঝেই ভারতীয় দলের অধিনায়ক ও আক্রমণের অন্যতম ভরসা সুনীলের মুখে আত্মবিশ্বাসী সুর। তাঁর মতে, আবুধাবিতে এশিয়ান কাপে ভারতীয় দলকে হালকাভাবে দেখলে ভুল করবে প্রতিপক্ষরা। কড়া চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে ওদের। সুনীল আর গুরপ্রীত ২০১১ এশিয়ান কাপে খেলেছিলেন। বাকিরা এবার সকলেই নতুন। সুনীলের ভাষায়, ‘গোটা দলটাই খুব উত্তেজিত ও চনমনে এশিয়ান কাপে সেরা দেওয়ার জন্য। আমি আর গুরপ্রীত ছাড়া সকলের কাছেই এটা নতুন অভিজ্ঞতা। তাই কেউই এই সুযোগটা হাতছাড়া করতে নারাজ। ভাল খেলার জন্য মুখিয়ে আছে। আমি নিশ্চিতভাবেই বলতে পারি, অন্য দলের পক্ষে আমাদের মোকাবিলা করা সহজ ব্যাপার হবে না। আমরা হারতে ঘৃণা করি। আর সেটা আমাদের সাম্প্রতিককালের পারফরমেন্স দেখলেই বোঝা যাবে। একটা বিশেষ পরিকল্পনা অনুযায়ী আমরা খেলি। এশিয়ান কাপেও তার ব্যতিক্রম হবে না।’
এই মুহূর্তে আন্তর্জাতিক ফুটবলে দেশের হয়ে সর্বোচ্চ গোল করেছেন ছেত্রী। তাঁর ঝুলিতে রয়েছে ৬৫টি গোল। সুনীল বলেন, ‘‘এই মুহূর্তে আমাদের সব ফোকাস রয়েছে টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে থাইল্যান্ডের বিরুদ্ধে। তার বাইরে আমরা আর কোনও দিকে তাকাচ্ছি না। সংযুক্ত আরব আমিরশাহী ও বাহরিনের বিরুদ্ধেও আমাদের ম্যাচ আছে। কিন্তু আমরা তাদের নিয়ে সেই ম্যাচের আগেই ভাবব।এই মুহূর্তে আমরা জানি থাইল্যান্ড খুব কঠিন প্রতিপক্ষ। এবং আমরা সেটাতেই মনোনিবেশ করছি।”
সুনীর ছেত্রী দেশের হয়ে এখনও পর্যন্ত ১০৪টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন। ভাইচুং ভুটিয়ার থেকে তিন ম্যাচ পিছিয়ে রয়েছেন।ভারতীয় দলের হয়ে ১০৭ ম্যাচ খেলেছেন বাইচুং। সুনীল খেলেছেন ১০৪ ম্যাচ। এশিয়ান কাপের গ্রুপ লিগের তিনটি ম্যাচ খেললেই বাইচুংকে ছুঁয়ে ফেলবেন সুনীল। কিন্তু সুনীল বার বারই বলেছেন তিনি রেকর্ডের জন্য খেলেন না।
সুনীল বলেন, ‘‘যখন নিজের নামে রেকর্ড দেখি তখন ভাললাগে। কিন্তু আমি রেকর্ডের হিসেব রাখি না। ১০ সেকেন্ডের মধ্যে আমি সব ভুলে সামনের দিকে এগিয়ে যাই। আমি কখনও রেকর্ডে পৌঁছনোর জন্য ছুটিনি। আমি কখনও স্বপ্ন দেখিনি আমি ১০০ ম্যাচ খেলব দেশের জন্য বা ৬০ গোল করব।”
২০১১ এশিয়ান কাপে বাইচুংয়ের ছত্রছায়ায় থাকা সুনীল এবার স্বপ্ন দেখাচ্ছেন নক আউটে যাওয়ার।