বিজেপি বিরোধী জোটের মধ্যমণি তিনি। তাঁকে ঘিরেই আবর্তিত হচ্ছেন চন্দ্রবাবু নায়ডু, কেজরিওয়াল, ফারুক আবদুল্লারা। ফেডারেল ফ্রন্ট গড়ে বিজেপিকে কেন্দ্র থেকে উৎখাতের ডাক দেওয়ার পর থেকেই প্রধানমন্ত্রী হিসাবে সামনে এসেছে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম। এবার নতুন বছরের শুরুতে মমতাকে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দেখার দাবি জানালেন দলের প্রথম সারির নেতারাও।
দলের জন্মদিন পালনের ফাঁকেই কলকাতার মেয়র ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম স্পষ্টই বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেশের প্রধানমন্ত্রী দেখতে চাই’। এর কারণ ব্যাখ্যা করে ফিরহাদ বলেন, ‘মমতাদি প্রধানমন্ত্রী হলে দেশের সব মেয়ে কন্যাশ্রী পাবে, সব পড়ুয়ারা সবুজসাথী পাবে। কৃষকরা মৃত্যুকালীন অর্থ সাহায্য পাবে’।
একই ভাবে মমতার নেতৃত্বে এ বছর দিল্লীতে সরকার গড়ার সংকল্প করেছেন যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেন অভিষেক। সেখানে তাঁর অনুরোধ, ‘২০১৯ পরিবর্তনের বছর। লড়াইয়ের বছর। আগামী দিনে যাতে দিল্লির বুকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক সরকার উপহার দিতে পারে, তা সকলকে সুনিশ্চিত করতে হবে’।
তপসিয়ার তৃণমূল ভবনে দলীয় পতাকা উত্তোলন করে একই আবেদন জানিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সুব্রত বক্সীও। তাঁর কথায়, ‘২০১১ সালে বামফ্রন্টের জগদ্দল পাথরকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এ রাজ্য থেকে সরানো হয়েছিল। একই ভাবে এ বছর লোকসভা ভোটে কেন্দ্রের সাম্প্রদায়িক শক্তিকে উৎখাতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ঝাঁপাতে হবে’। সাংসদ ইদ্রিশ আলি সরাসরি জানিয়ে দেন, ‘আগামী দিনে মমতাই হবেন প্রধানমন্ত্রী’। খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে দিল্লীতে সরকার গড়ার দাবি জানান এদিন।