নাহ এবার আর গুজব নয়। তাঁর মৃত্যুর খবর যে নেহাতই রটনা, তা জানার পর যখন বছর শুরুতে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছেন তাঁর অনুগামীরা, ঠিক তখনই চলে গেলেন বর্ষীয়ান অভিনেতা কাদের খান। চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরেই ছিলেন তিনি। এদিন সকালেই কানাডার একটি হাসপাতালেই মৃত্যু হয় তাঁর। মৃত্যুকালে অভিনেতার বয়স হয়েছিল ৮১ বছর। বর্ষীয়ান অভিনেতার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই শোকস্তব্ধ তাঁর দীর্ঘদিনের সহকর্মী এবং অনুগামীরা।
বেশ কিছুদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন কাদের খান। ৩ বছর আগে মুম্বইয়ের কোকিলাবেন হাসপাতালে হাঁটুতে অস্ত্রপচার করা হয় তাঁর। অস্ত্রপচারের পর থেকে হাঁটাচলাতেও বেশ অসুবিধাই হত বলিউড অভিনেতার। কিন্তু, ডিসেম্বর মাস থেকে আরও বেশি করে অসুস্থ হয়ে পড়ছিলেন তিনি। বড় ছেলে সরফরাজ এবং তাঁর স্ত্রী বাবার দেখাশোনা করতেন। কিন্তু, বেশ কিছুদিন ধরেই কাদের খান চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছিলেন না। ফলে, তাঁকে কানাডায় উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
সম্প্রতি কাদের খানের মৃত্যু নিয়ে একাধিক গুঞ্জন শুরু হয়। রবিবার গভীর রাতে আচমকাই তাঁর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়াজুড়ে। তাঁকে শ্রদ্ধা জানানোর হিড়িকও পড়ে যায় নেটিজেনদের একাংশের মধ্যে। কিন্তু, অভিনেতার ছেলে সরফরাজ খান জানিয়ে দেন, তাঁর বাবার মৃত্যু নিয়ে গুজব ছড়িয়েছে। বাবার শ্বাসের কষ্ট বেড়েছে এবং তাঁকে ভেন্টিলেশনে দেওয়া হয়েছে বলেও জানান সরফরাজ।
কিন্তু, সরফরাজের ওই বক্তব্যের সামান্য কিছু সময় পরেই যাবতীয় গুজবকে সত্যি করে চলে গেলেন তিনবারের ফিল্মফেয়ার পুরষ্কার জয়ী এই অভিনেতা-চিত্রনাট্যকার। নতুন বছরের শুরুতেই এমন নক্ষত্রপতনে শোকের ছায়া গোটা বলিউডে।