সারা বছর ধরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার মানুষকে কিছু না কিছু উপহার দিয়ে যান। নানারকম উন্নয়নমূলক প্রকল্প, আর্থিক সুবিধা ইত্যাদি দিয়ে তাঁর উপহারের ঝুলি তিনি সবসময়ই খুলে রাখেন। আর এবার গোটা বাংলার মা-কে নতুন বছরে উপহার দিতে চলেছে তাঁরই খুদে সন্তানেরা। ২০১৯ সালে তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হবে ২০১৯ টি কচিকাঁচার হাতে আঁকা জায়েন্ট গ্রিটিংস কার্ড।
নববর্ষের আগে রবিবার উল্টোডাঙা বিবেকানন্দ ক্লাবের উদ্যোগে মুচিবাজারের ২০১৯ জন কচিকাঁচা একসঙ্গে জড়ো হয়৷ কারও বয়স ৫ আবারও কারও বয়স ১৪৷ ছুটির দিনে ছোট ছোট শিশুরা খেলাধুলো, স্নান, খাওয়া ভুলে সারাদিন মেতে রইলো রং-তুলি নিয়ে৷ তৈরি করে ফেলল মস্ত বড় একটি গ্রিটিংস কার্ড৷ যার দৈর্ঘ্য পাঁচ ফুট ও প্রস্থ চার ফুট৷
ছোটরা যা দেখেছে তাই এঁকেছে৷ কেউ এঁকেছে মেলা, কারোর ভাবনায় পরিবেশ, কেউ আবার সাইকেল চড়ে স্কুলে যাওয়ার ছবি৷ আদতে যা রাজ্য সরকারের সবুজ সাথী প্রকল্প৷ এছাড়া গ্রিটিংসে উঠে এসেছে মেয়েদের ক্যারাটে প্রশিক্ষণের ছবিও। তবে শুধু সবুজ সাথী নয়, রাজ্য সরকারের একাধিক প্রকল্পের প্রতিকৃতি তারা রং-তুলির মাধ্যমে কার্ডে ফুটিয়ে তুলেছে৷
নববর্ষের শুভেচ্ছা জানাতে কার্ডটি সেদিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে তুলে দিতে চায় ওই কচিকাঁচারা৷ ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে৷ নিজেদের শিল্পসত্ত্বার জানান দিতে মস্ত কার্ডে সাক্ষরও করেছে ক্ষুদেরা৷ এক উদ্যোক্তার কথায়, গ্রিটিংস কার্ডটি তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল অনেক দিন আগেই৷ যা সম্পূর্ণ হল রবিবার৷ এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা৷ মুখ্যমন্ত্রীর কাছে কার্ডটি পৌঁছেতে পারলেই মধুরেণ সমাপয়েৎ হবে৷ স্বীকৃতি পাবে শিশুদের পরিশ্রম৷ দাবি,কচিকাঁচাদের অভিভাবকদের৷
যে সময়ে দাঁড়িয়ে নতুন বছরে কার্ড দেওয়ার প্রথা প্রায় বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে, সবটাই হয়ে উঠছে ডিজিটাল, গ্রিটিংস কার্ডের চাহিদাই হোক বা সরবরাহ, সবের নিরিখেই সাবেকী কার্ডের অস্তিত্ব বিপন্ন ঠিক সেরকম এক সময়ে নিজেদের হাতে আঁকা কার্ড তৈরি করে এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করল মমতার সোনার বাংলার ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা।