বরাবরই সাংস্কৃতিক আন্দোলন এবং সৃজনশীলতায় বিশ্বাস করেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজেই মাঝে মাঝে বলেন, একটা সময় বই লিখে আর ছবি এঁকে দল চালাতেন। ফের সেই সৃজনশীলতারই পরিচয় দিলেন মমতা। বর্ষবরণের শুভেচ্ছা জানাতে হাতে তুলে নিলেন রঙ-তুলি। আঁকলেন কাঞ্চনজঙ্ঘা। মমতার হাতে আঁকা ছবি দিয়ে তৈরি সেই শুভেচ্ছা কার্ড পৌঁছে গেল দলের কর্মী-সম র্থকদের হাতে। এভাবেই নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বহু মানুষ পাহাড়ের সৌন্দর্য উপভোগ করতে এখন দার্জিলিংয়ে আছেন। প্রায় ১১ বছর পর বরফ পড়েছে এখানে। তুষারে ঢাকা পড়ে কাঞ্চনজঙ্ঘা হয়ে উঠেছে শ্বেতশুভ্র। প্রকৃতির সেই অনাবিল সৌন্দর্যকেই রঙ-তুলিতে ধরেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। সাদা ক্যানভাসে আকাশি রঙে পেশাদারি দক্ষতায় মমতা ফুটিয়ে তুলেছেন কাঞ্চনজঙ্ঘার সেই নয়নাভিরাম দৃশ্য।
ক্ষমতায় আসার পরই পাহাড়কে বিমল গুরুংয়ের অশান্ত করার চেষ্টা ব্যর্থ করে দেন মমতা। উন্নয়নের জোয়ার এনে পাহাড়বাসীর মুখে হাসি ফোটান তিনি। একইভাবে মাওবাদী সন্ত্রাস ব্যর্থ করে জঙ্গলমহলকেও ফেরান মূল স্রোতে। এখন ধর্মনিরপেক্ষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে বাংলায় সমস্ত ধর্মের মানুষের সহাবস্থান। সকল জাতি-ধর্মের মানুষকে নিয়েই বাংলায় উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখেছেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রীর হাতে আঁকা নতুন বছরের শুভেচ্ছা কার্ডেও সেই উন্নয়নের বার্তাই দিলেন মমতা।