ক্ষমতায় এসে ‘ডিজিটাল ইন্ডিয়া’র স্বপ্ন দেখিয়ে মানুষকে যথেষ্ট বিড়ম্বনার মধ্যে ফেলেছেন৷ কখনও আচমকা নোটবাতিল আবার কখনও আঁধার কার্ড সংক্রান্ত বিষয়ে মানুষ নাকাল হয়েছেন৷ কিন্তু কাজের কাজ হয়নি কিছুই৷ আর এবার সামনে এল মোদী জমানার এক আশ্চর্য তথ্য৷ একশো তিরিশ কোটি জনসংখ্যার দেশে ৫৬ কোটি ইন্টারনেট সংযোগ রয়েছে৷ যে দেশে এখনও বহু মানুষ বেকার, অনেক মানুষ বসবাস করে দরিদ্রসীমার নীচে সেই দেশে এত মানুষের ইন্টারনেট সংযোগ থাকা যথেষ্ট আশ্চর্যের৷
টেলিকম রেগুলেটরি অথিরিটি অফ ইন্ডিয়া (ট্রাই)-এর এক রিপোর্টে দেখা গেছে, গত তিন বছরে শহরের পাশাপাশি গ্রামীণ ভারতে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পাওয়া হিসেবে দেশে ন্যারোব্যান্ড ও ব্রডব্যান্ড মিলিয়ে প্রায় ৫৬ কোটি কানেকশন রয়েছে। অর্থাৎ মোদীর রাজত্বে পেটে ভাতের যোগান কিংবা জীবিকার ব্যবস্থা না হলেও ইন্টারনেট সংযোগের যে অভাব হবে না তা খুব স্পষ্ট৷
গ্রামীণ এলাকায় ৩৬ শতাংশ অর্থাৎ প্রায় ২০ কোটি ইন্টারনেট সংযোগ রয়েছে।
গত তিন বছরে প্রায় ২০ কোটি সংযোগ বৃদ্ধি পেয়েছে। কেন্দ্রীয় টেলিকম মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেছিলেন, ‘২০১৮ সালের মধ্যে সরকার ৫০ কোটি ইন্টারনেট সংযোগের লক্ষ্য রয়েছে।’ আর এখানেই আবারও বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আবারও হারলেন মোদী৷ মোদী সরকার যেখানে ইন্টারনেট সংযোগ বৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি দেয়, মমতা সেখানে প্রতিনিয়ত রাজ্যের মানুষের বেকারত্ব হ্রাস করতে উদ্যোগ নেন৷ কারণ ফোনে ইন্টারনেটের থেকে জীবিকা নির্বাহ অনেক বেশী গুরুত্বপূর্ণ৷