আগামী ২০২২ সালে ভারতের স্বাধীনতার ৭৫তম বছর পূরণ হবে৷ আর সেই বছরই দেশের জাতীয় পতাকা নিয়ে মহাকাশে পাড়ি দেবে ভারত মাতার ৩ সন্তান। পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ হলে ২০২২ সালেই তিনজন সদস্য নিয়ে পৃথিবী ছেড়ে মহাকাশে উড়ে যাবে ভারতের বৃহত্তম ভারী রকেট জিএসএলভি এমকে-থ্রি। আজই এ বিষয়ে ১০,০০০ কোটি টাকার ‘গগনযান’ প্রকল্প পাশ হল মন্ত্রিসভায়।
ঠিক হয়েছে, ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো মোট তিনটি মহাকাশযান পাঠাবে। যার মধ্যে একটি মনুষ্যবাহী। অভিযান সার্থক হলে, মহাকাশে মানুষ পাঠানো দেশের তালিকায় আমেরিকা, রাশিয়া এবং চিনের সঙ্গে নাম জুড়বে ভারতেরও। জানা গেছে, এই অভিযানে রাশিয়া এবং ফ্রান্সেরও সাহায্য নেবে ইসরো।
ইসরোর তরফে জানানো হয়েছে, ২০০৪ সালে প্রথম এই কর্মকান্ডের কথা ভাবা হয়। শুরুতে এ ব্যাপারে কোনও নির্দিষ্ট সময়রেখা ছিল না। প্রাথমিক আলোচনায় ২০১৫ নাগাদ টার্গেট ঠিক হয়েছিল। তবে ২০১৫য় তা না হলেও ২০০৮-এর পরিকল্পনা মোতাবেক উৎক্ষেপণ যান জিএসএলভি এমকে-থ্রি অনেকটাই তৈরি হয়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই খরচ হয়েছে ১৭৩ কোটি টাকা। মাঝে আর্থিক কারণে মাঝে খানিকটা থমকে যায় ইসরো। তবে এ বার কাজ শুরু হবে ফের।
ইসরোর দাবি, কাজ শুরুর ৪০ মাসের মধ্যে হবে প্রথম অভিযান। মহাকাশ-যাত্রার যাবতীয় প্রশিক্ষণও দেওয়া হবে এই সময়ের মধ্যেই। জানা গেছে, লো আর্থ অরবিটে ৩০০-৪০০ কিলোমিটারের মধ্যে অবস্থান করবে মহাকাশযানটি। নিজেদের মহাকাশচারীদের ‘ব্যোমনটস’ বলে ডাকবে ভারত। সংস্কৃতে ‘ব্যোম’ শব্দের অর্থ শূন্য। ওই মহাকাশচারীরা এক সপ্তাহ মহাকাশে কাটাবেন।
যেহেতু হাতে সময় মাত্র ৪০ মাস তাই বর্তমানে অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রে জোর কদমে চলছে লক্ষ্যে পৌঁছনোর প্রস্তুতি। গগনযান প্রকল্পের জন্য ধার্য ১০,০০০ কোটি টাকার মধ্যে রয়েছে প্রযুক্তির উন্নয়ন, ফ্লাইট হার্ডওয়্যার এবং প্রয়োজনীয় অবকাঠামোর উপাদানের খরচ। উল্লেখ্য, চলতি বছরের জুলাই মাসে প্রায় ১৩ টনের ক্রু মডিউল প্যাড অ্যাবোর্ট পরীক্ষা করা হয়। যাতে উৎক্ষেপণের সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়লে বাঁচানো সম্ভব হয় তিন মহাকাশচারীকে।