পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনে ভরাডুবি হয়েছে বিজেপির। মোদী-শাহের একাধিপত্যে চিড় ধরেছে দলের অন্দরেই। একে একে শরিকরাও ছেড়ে যাচ্ছে এনডিএ জোট। সব মিলিয়ে ২০১৯ লোকসভা ভোটে বিজেপির জয়ের আশা প্রায় নেই বললেই চলে। এমন পরিস্থিতিতে ২০১৯-এর ভোটে জিততে নিজেদের ধর্মীয় সংগঠনগুলিকে এবার খোলাখুলি বিজেপির জন্য প্রচারে নামাল আরএসএস বা রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘ। এই নিয়ে সঙ্ঘের সমন্ময় বৈঠকে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ-সহ বিভিন্ন সংগঠনকে রাজ্যের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলিতে গিয়ে বিজেপির হয়ে প্রচারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ভিএইচপি-র মতো সংগঠনগুলিকে যে বিজেপির প্রচারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তা মেনে নিয়েছেন দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও। তাঁর কথায়, ‘সামাজিক সংগঠনগুলির কাজে আমরা হস্তক্ষেপ করি না। তবে ওদের প্রয়োজন হলে আমরা সাহায্য করব।’ এই বিষয়ে ভিএইচপি-র পূর্ব ভারতের ক্ষেত্রীয় সাধারণ সম্পাদক শচীন্দ্রনাথ সিংহের বক্তব্য, ‘রাজ্য জুড়ে ছড়িয়ে থাকা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলিতে গিয়ে আমরা বোঝাব, কেন হিন্দুত্ববাদের প্রয়োজনে বিজেপিকে ক্ষমতায় রাখা দরকার। তা হলে তাদের মাধ্যমে ভক্তদের কাছেও এই বার্তা পৌঁছে দেওয়া যাবে।’
এর সঙ্গে কর্পোরেট ধাঁচেও ভোট জোগাড়ের কৌশল নিয়েছে গেরুয়া শিবির। কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের কাছে পৌঁছে তাঁদের সপরিবার ভোট পাওয়ার চেষ্টায় পেশাদার সংস্থার কর্মীদের মাঠে নামিয়েছে বিজেপি। আজ, শনিবার কলকাতায় এসে ওই পেশাদার সংস্থার আধিকারিকদের কাছ থেকে বাংলা-সহ ৪ রাজ্যে দলের হাল হকিকৎ-এর রিপোর্ট নেবেন বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ভূপেন্দ্র যাদব।