বকখালি ঘুরতে যাওয়া এতদিন বেশ ঝঞ্ঝাটে পরিপূর্ণ ছিল। কলকাতা থেকে আসতে হত হাতানিয়া-দোয়ানিয়া নদীর তীরে, সেখান থেকে ভেসেলে নদী পেরিয়ে তবে যাওয়া যেত সমুদ্রসৈকতে। তবে নতুন বছরেই এবার রাজ্যবাসীকে নতুন উপহার দিতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নদীর উপর বহু প্রতীক্ষিত সেতুর কাজ প্রায় শেষের মুখে। এবার দ্রুত পথে অতিক্রম করা যাবে কলকাতা থেকে প্রায় ১৪০ কিলোমিটার পথ।
একনজরে এই দেখলে এই সেতুকে মনে হবে দ্বিতীয় হুগলী সেতুর সংস্করণ। এই ব্রিজ গড়তে সবথকে বেশি উদ্যোগ নিয়েছিলেন মমতা। বস্তুত হাতানিয়া-দোয়ানিয়া সেতু মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রোজেক্ট। সেতুর দায়িত্বে থাকা এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার বি কে সিং বলেন, ‘সম্পূর্ণ অন্য ধরণের প্রযুক্তিতে এই সেতু গড়া হয়েছে। অনেকটা উঁচু করতে হয়েছে যাতে জাহাজ চলাচলে কোনও বাধা তৈরি না হয়।’
সেতুর কাজ প্রায় শেষ। শুধু দুই পাড়ে তিন মিটার করে আর ছ’মিটার জুড়লেই বকখালি ফ্রেজারগঞ্জ দ্বীপ মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত হয়ে যাবে। জেলাশাসক রত্নাকর রাও জানিয়েছেন, ‘ আমরা সবাই অধীর অপেক্ষাতেই আছি। জানুয়ারির ৫ তারিখের মধ্যে ওই ৬ মিটার জুড়ে যাবে। তারপরেই উদ্বোধন।’
এই সেতু তৈরিতে এলাকার মানুষেরাও খুব খুশি।এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল এটি। সেই স্বপ্ন পূরণ করছেন মমতা
এই ছ’মিটার জুড়লেই ইতিহাস তৈরি হবে। যার ফলে নামখানায় এসে আর জেটিতে উঠতে হবে না। সরাসরি চলে যাওয়া যাবে বাংলার অনিন্দ্যসুন্দর পর্যটন ক্ষেত্র বকখালিতে। যাত্রী পরিবহণের ক্ষেত্রেও সুন্দর যোগাযোগের মাধ্যম তৈরি হবে এই সেতুটি। বলতে গেলে দিঘার পর সৌন্দর্যের দিক থেকে দ্বিতীয় সমুদ্রসৈকতের রূপ নেবে এই পর্যটন ক্ষেত্র।