বড়দিনে সান্টাক্লজের আসার গল্প কখনো সত্যি হয়ে যায়। এবারের বড়দিনে রুপকথার বাস্তব হওয়ার সাক্ষী থাকল এমন কয়েক জন শিশু যাদের জগতে বড়দিন কার্যত আসে না তাই তাদের জন্যে এবার সান্টা হয়ে এলেন স্বয়ং শচীন তেণ্ডুলকর।
মুখে সাদা দাড়ি, লাল টুপি, সান্টার মতই লাল জামা পড়ে সান্তা সেজে, পিঠে উপহারের ঝুলি নিয়ে তিনি হাজির হলেন ‘আশ্রয়’ নামে দুঃস্থ শিশুদের নিয়ে কাজ করা এক সংস্থায়। এমনই নিখুঁত ছিল তাঁর ছদ্মবেশ শিশুরা বুঝতেই পারেনি আসলে তিনি কে! কিন্তু চোখের সামনে সান্টাকে দেখতে পেয়ে বেজায় খুশি হয় খুদেরা। ব্যাট–বল হাতে সান্টা আসতেই উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়ে তারা। এর পর শচীন তাদের সঙ্গে ক্রিকেট খেলেন। ‘জিঙ্গল বেলস’–এর তালে তালে সাথে নাচও করেন। ক্রিকেট ব্যাট-বল-ফুটবল- র্যাকেট ইত্যাদি বিভিন্ন রকমের খেলার সরঞ্জাম তুলে দেন তাদের হাতে। নিজের হাতে কেকও খাওয়ান শিশুদের।
পরে শচীন নিজে গোটা দিনের একটি ভিডিও টুইটারে শেয়ার করে লেখেন, ‘আশ্রয় চাইল্ড কেয়ার সেন্টারের এই বাচ্চাদের সঙ্গে থাকতে পেরে দারুণ লাগছে। ওদের নিষ্পাপ মুখগুলোয় ফুটে ওঠা আনন্দের কোনও তুলনা হয় না।’ ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে, শুরুতেই সবাইকে ক্রিসমাসের শুভেচ্ছা জানিয়ে শচীন বলছেন, ‘আজ আমি আশ্রয় কেয়ার সেন্টারে যাচ্ছি। যেখানে দুঃস্থ শিশুদের নিয়ে কাজ করা হয়। ওদের সঙ্গে কিছুটা সময় কাটাতে চাই। ওদের মুখে হাসি ফুটিয়ে তোলার কারণ হতে চাই। তবে নিজের পরিচয় গোপন রেখে।’ সান্তার পোশাক পরার সময়ও যেন নিজের ব্যাটিংয়ের মতো নিঁখুত শচীন। সান্তার টুপি পরে ও নকল দাড়ি লাগাতে লাগাতে যিনি বলছেন, ‘আশা করি এবার ওরা আমায় চিনতে পারবে না। যতই হোক সারপ্রাইজ সবসময় মজাদার হওয়া উচিত।’
সারপ্রাইজ সত্যিই মজাদার ছিল। যারা বড়দিনের আনন্দ সেভাবে কখনও উদযাপন করেনি, তাদের এমন একটা দিন উপহার দিতে পেরে শচীন নিজেও খুব খুশি। খুদেদের মুখে হাসি ফুটিয়ে আবারও ছক্কা মারলেন শচীন।