বিজেপির আইন অমান্য কর্মসূচি ঘিরে রণক্ষেত্র বসিরহাট। বিজেপি কর্মীদের ইটবৃষ্টিতে আহত হলেন বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী।
সোমবার বেলা ১২টায় ছিল বিজেপির আইন অমান্য কর্মসূচি। যদিও বেশ কিছুক্ষণ পর বসিরহাট পৌঁছন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। প্রথমে বসিরহাট টাউনহলের সামনেই গাড়ির ওপর দাঁড়িয়ে ভাষণ দেওয়া শুরু করে দেন তিনি। এর পর তাঁর নির্দেশ পাওয়া মাত্রই মহকুমাশাসকের দফতর অভিযান শুরু করেন বিজেপি কর্মীরা।
ওদিকে অবস্থার ভয়াবহতা আঁচ করতে পেরে আগেভাগেই মহকুমাশাসকের দফতর নিরাপত্তা বলয়ে মুড়ে ফেলেছিল পুলিশ। বিজেপি কর্মীরা সেখানে পৌঁছেই পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছুঁড়তে শুরু করে দেয় তাঁরা। ভেঙে দেয় পুলিশি ব্যারিকেডও। মুহূর্তেই রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোটা এলাকা। মুড়ি-মুড়কির মতো হওয়া ইটবৃষ্টিতে আহত হয় বেশ কয়েকজন পুলিশ। হাজারও চোট-আঘাত সয়েও শেষমেশ অবস্থার সামাল দেয় পুলিশ।
ঘটনায় ক্ষুব্ধ উত্তর ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূল সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, ‘ক্ষমতার লোভে পুলিসকে পেটাতেও পিছ পা হচ্ছে না বিজেপি। গোটা রাজ্যে অরাজকতা তৈরির চেষ্টা করছে তারা। এই ঘটনায় কঠোর থেকে কঠোরতর শাস্তি হওয়া উচিত দিলীপ ঘোষের। কিন্তু আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি বলে কিছু করছি না।’
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, ২০১৯-এর নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে যে কটি আসনকে বিজেপি পাখির চোখ করেছে তার মধ্যে অন্যতম বসিরহাট। তাই এখানে আন্দোলনের ঝাঁঝকে অন্য মাত্রায় নিয়ে যেতে চায় তারা। তাই এমন বিশৃঙ্খলতার আশ্রয় নিচ্ছে তারা।